Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি ,

; দেবীপক্ষের সাথে সাথেই বাঙালির বড় উৎসব চ দুর্গাপুজো। এই সময় উৎসবে সামিল হতে বাঙালির হাতে এখন অর্থের প্রয়োজন ।সরকার একদিকে লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা এ‍্যাকাউন্টে দেওয়া শুরু করলেও,গোপ গন্তার ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার সোসাইটিতে যে সমস্ত মানুষ টাকা রেখেছেন তারা নিজেদের একাউন্টের টাকা নিজেরাই পাচ্ছেন না এমনটাই অভিযোগ ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার সোসাইটি বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নিজেদের টাকা গচ্ছিত রেখে নিজেরাই টাকা তুলতে পারছেন না। সোসাইটির গ্রাহকরা জানান, সমস্যা হচ্ছে যখন তারা টাকা তুলতে যাচ্ছেন -নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী টাকার পরিমাণ তুলতে তো পারছেন না, দেওয়া হচ্ছে সামান্য ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। তবে কারো একাউন্টে ৫০ হাজার টাকা, আবার কারো ৮০ হাজার, কারো ৯০ হাজার থাকা সত্ত্বেও তুলতে পারছেন মাত্র পাঁচশো থেকে হাজার টাকা। অনেক দূর দূরান্ত থেকে এসেছেন টাকা তুলতে, তবে তাদের ভান্ডারে টাকা থাকলেও টাকা তুলতে পারছেন না গ্রাহকরা সেইজন্য গন্তার ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার সোসাইটিতে এই অরাজকতা ও হয়রানির জন্য গ্রাহক ও এলাকাবাসিরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।গ্রাহকদের মধ্যে কেউ আছেন একশো দিনের কাজের টাকা তুলতে, কেউবা ভিক্ষা করা জমানো টাকা তুলতে এসেছেন, তবে তুলতে পারছেনা কেউই। আবার অনেকেই এসেছেন মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য জমানো টাকা তুলবে তারাও ব্যর্থ । আশা নিয়ে এসে কষ্ট করে বাড়ি যেতে হচ্ছে। এমন সমস্যায় কিছুদিন নয় এক বছরেরও বেশি দিন ধরে ভুগছেন এলাকার মানুষ।মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা তোলা তো দূরঅস্ত, মেয়ের বিয়ে দিতে পারেননি গ্রাহকদের মধ্যে একজন।আবার এমনটাও লক্ষ্য করা যায় সোসাইটিতে কর্মরত থাকা সত্ত্বেও নিজের জমানো টাকা তুলতে পারছেন না অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, চোখের জলে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর স্ত্রীকে।ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে ম্যানেজারবাবু তো বেশ কিছুদিন ধরে আসছে না, এমনটাই অভিযোগ কর্মচারী সহ আধিকারিকদের।ম্যানেজারের অনুপুস্থিতিতে ইনচার্জ যিনি ছিলেন তার সঙ্গে কথা বলতেই অরাজকতার কথা স্বীকার করেন কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকদের অভিযোগ ম‍্যানেজার অমল ঘোষ ও পরিচালন সভাপতি যিনি সদ‍্য প্রাক্তন হওয়া সন্দীপ পরামানিকের বিরুদ্ধে। গ্রাহক ও সোসাইটি কর্তৃপক্ষের বক্তব‍্য অনুযায়ী রাজনৈতিক মদতে কাটমানি পেতে কোনো বাছবিচার না করেই লোন দেওয়া হয়েছে। মোটা কাটমানির বিনিময়ে লোন পরিশোধ করতে হবে না একরকম অলিখিত চুক্তিতে লোন দেওয়ার ফলেই সোসাইটির এই করুণ অবস্থা। রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভয়ে সোসাইটি বা সাধারণ মানুষ কেউই মুখ খুলতে পারছে না। তবে তারা আশা করছেন যথাযথ তদন্ত হলে সব রহস‍্য উদ্ঘাটন হবে। এমন অবস্থায় অনেকের ঘরে পুজোর আমেজ রমরমা থাকলেও গন্তার ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার সোসাইটিতে যে সমস্ত গ্রাহকরা টাকা রেখেছেন ,  তাদের পুজোটা হয়তো একটু কষ্টে কাটাতে হবে।অভিযুক্তদের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *