মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃদ্ধাশ্রমে মায়েদের সাথে ভোজন ও উপহার প্রদান
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান আয়োজনের খবর পাওয়া যায়। তবে আজকের অনুষ্ঠানে এক অন্য স্বাদের,আনন্দের এবং উৎসাহের বলা যেতে পারে।বীরভূমের জেলা সদর সিউড়ী সংলগ্ন শালবনি গ্রামে লেডি কনস্টেবল ছবিলা খাতুনের রঙীন স্বপ্নের পরিকল্পনায় নির্মিত স্বপ্নপুরী বৃদ্ধাশ্রম। যেখানে স্বজনতাড়িত অসহায় বৃদ্ধা মায়েদের স্বপ্ন সযত্নে লালিত পালিত হচ্ছে। আজ এক অনন্য রবিবারে সেখানে দেখা মিলল চিরাচরিত প্রথার বাইরে মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপনের চিত্র। জানা যায় যে,গত বছর আজকের দিনে অর্থাৎ ১০ ই মার্চ বীরভূমের খয়রাসোল ব্লকের লোকপুর গ্রামের বাসিন্দা স্বর্গীয়া সুবর্ণবালা চৌধুরী পরলোক গমন করেন। তাঁরও প্রায় এক দশক আগে পরলোকগমন করেন তাঁর স্বামী তথা লোকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোঁসাই দাস চৌধুরী। উক্ত দুজনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন জ্ঞাপনে ছবিলার স্বপ্নপুরী বৃদ্ধাশ্রমের অসহায় মায়েদের সেবা ও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদি উপহারের ব্যবস্থা করেন তাঁদেরই নাতি প্রদীপ গড়াঁই, প্রসূন চৌধুরী,সুদীপ চৌধুরী এবং নাতনি সুজাতা চৌধুরী।উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্য সীমা সাহা, সৌম্যদীপ গড়াঁই সহ অন্যান্যরা। এছাড়াও তাঁদের স্মৃতির সম্মানার্থে এবছর থেকে শুরু করলেন লোকপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকারীর জন্য “স্বর্গীয় গোঁসাই দাস চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার” এবং মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকারীর জন্য “স্বর্গীয়া সুবর্নবালা চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার” প্রদান করার শুভ সূচনা হয়। এদিন ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতি ছাত্র হিসেবে শুভ্র শীল এবং মাধ্যমিকে কৃতি ছাত্র হিসেবে বিষ্ণু নন্দী কে মেমোন্টো, পুষ্পস্তবক সহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয় এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
স্বাভাবিকভাবেই উদ্যোক্তাদের এরূপ আয়োজনে অত্যন্ত খুশি ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বৃদ্ধাশ্রমের কর্ণধার ছবিলা খাতুন সহ সমস্ত আবাসিক মায়েরা।পরিবারের সদস্যা সুজাতা চৌধুরীর কথায়, “স্বপ্নপুরী এক্সপ্রেসে কিছুটা সময় তাদের সফরসঙ্গী হতে পেরে আমরা আপ্লুত। তাদের এই যাত্রাপথের অভিভাবক ছবিলা খাতুন পরিবার-পরিত্যক্তা মায়েদের দেখভালের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানানোর ভাষা জানা নেই।