Spread the love

জাহিরুল হক ( রাজা মাস্টার)

চন্দন সরকার ওরফে শান্ত সরকার।মঙ্গলকোট বিধানসভা, মঙ্গলকোট অঞ্চলের প্রতিটি আবালবৃদ্ধবনিতার কাছে এক জনপ্রিয় নাম।তিনি মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তার থেকেও বড়ো পরিচয় জননেতা তথা গরিবের মশিহা।মা মাটি মানুষের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কর্ম কান্ড নিয়ে বাংলাকে ভারত তথা বিশ্বের আঙিনাতে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন এবং 1998 সালে নতুন দল তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছিলেন সেই সময় থেকেই তিনি এই দলের একজন সৈনিক।শান্ত বাবু একজন লড়াকু নেতা,তিনি গরিবের রবিনহুড,এলাকাতে খোঁজ খবর নিলেই জানতে পারা যাবে তিনি বিগত কয়েক বছরে প্রায় 50-60 টা গরিব মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন,বহু গরিবের বাড়িতে রান্নার হাঁড়ি চাপে তার দেওয়া অর্থে,অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীর বই,খাতার যোগান এমনকি পুরো পড়াশোনা খরচ তিনি বহন করেন।আবার খেলা প্রেমীদের কাছে তিনি আইকন।কারণ বিগত কয়েক বছর ধরে মঙ্গলকোটের খেলার ইতিহাসে সবথেকে বড় ফুটবল,ক্রিকেট প্রতিযোগিতা তিনি আয়োজন করেন।যখনই তাঁর কাছে কেউ সাহার্যের প্রত্যাশা নিয়ে যায়,তিনি তাকে নিরাশ করেন না।একটা সময় ছিল যখন মঙ্গলকোট বলতে মানুষ বোমাবাজি আর দুষ্কৃতীদের আঁতুর ঘর হিসাবেই জানতো।কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর শান্ত বাবুর হাতে মঙ্গলকোট অঞ্চলের দ্বায়িত্ব দেওয়ার পর সেই সংস্কৃতির পরিবর্তন হয়।এখন মঙ্গলকোট মানে খেলাধুলা আর সাংস্কৃতির পীঠস্থান।শান্ত বাবুর আমলে মঙ্গলকোট অঞ্চলের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ের জোয়ার বয়ে গেছে।রাস্তাঘাট,পানীয় জল, বিদ্যুৎ, খেলাধুলা সহ আরো বিভিন্ন বিষয়ে প্রভূত উন্নয়ন হচ্ছে।তার কাছে ধর্ম,বর্ণ,দল মত নির্বিশেষে সকলেই সমান।2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এলে বিরোধী দলের অনেকেই নিজেরাই যখন বাড়ি ছাড়া তখন শান্ত বাবু নিজে ফোন করে বা তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের প্রত্যেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন।এই বিষয়ে শান্ত বাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন-“ভারত একটা গণতান্ত্রিক দেশ, সেখানে প্রতিটি মানুষ কে কি খাবে,কি পড়বে, কে কি দল করবে তার সম্পূর্ণ নিজস্ব অধিকার আছে,তাই যারা ভুল করে বিজেপি দলের খপ্পরে পড়েছিল তারা সবাই ভুল বুঝতে পেরেছি।”তিনি আরো বলেন-মাননীয় অনুব্রত মন্ডল(কেষ্ট দা) বা দল আমাকে যে দ্বায়িত্ব দিয়েছে সেই দ্বায়িত্ব আমি নিষ্ঠার সাথে পালন করবো।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শকে কোনোদিন কালিমা লিপ্ত করবো না।চিরজীবন যেন মানুষের সেবা করতে পারি।”তিনি যে কতটা দক্ষ সংগঠক সেটা ভোটের ফলাফল দেখেই বোঝা যাবে,2021 সালের বিধান সভা নির্বাচনে মঙ্গলকোট অঞ্চল থেকে আট হাজার ভোটে লিড এনে দিয়েছেন তিনি।তাই তাঁর দল চালানোর দক্ষতা,মানুষের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা তাঁকে মঙ্গলকোটের মসিহা করে তুলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *