মঙ্গলকোটের দত্ত পাড়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
করোনা অতিমারিতে প্রিয়জন হারানোর বেদনা, সদ্য বন্যায় বহু মানুষ গৃহহীন, আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে পুজোর ক'দিন নিম্নচাপের ইঙ্গিত, করোনা জনিত নিষেধাজ্ঞা - সব মিলিয়ে ভাবা হয়েছিল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের দিনগুলো বিষণ্নতায় কাটবে। কিন্তু সমস্ত বিষণ্নতাকে দূরে সরিয়ে সপ্তমীর সন্ধ্যায় মঙ্গলকোটের দত্ত পাড়া মেতে উঠল এক রঙিন সন্ধ্যায়। সৌজন্যে নতুনহাট সুরসঙ্গম ড্যান্স গ্রুপের ছাত্রীরা এবং একগুচ্ছ স্হানীয় শিল্পী।
স্হানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে মঙ্গলকোট শ্রী শ্রী সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির উদ্যোগে ১৯৪৬ সালে মঙ্গলকোট দত্ত পাড়ায় এই পুজো শুরু হয়। পুজো চারদিন জাতি-ধর্ম, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সমস্ত গ্রামবাসী আনন্দে মেতে ওঠে।
চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
করোনাবিধি মেনে সপ্তমীর সন্ধ্যায় হয় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মঙ্গলকোট সুরসঙ্গম ড্যান্স গ্রুপের প্রিয়াঙ্কা, অঙ্কিতা, সুচিত্রা, আশিকা, অর্পিতা, ত্রয়ী, পাপিয়া, ইন্দিরা, বিদিশা, খুশী প্রমুখ শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশন খুশির আমেজ এনে দেয় উপস্থিত দর্শকদের মনে। প্রতিটি নাচ বা গানের শেষে দর্শকদের করতালি তাদের খুশির ইঙ্গিত দেয়। এরা সবাই স্হানীয়। সর্ব্বোপরি বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী তৃণা মুখার্জ্জীর সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অন্য মাত্রা এনে দেয়। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দর্শক হয় প্রচুর। করোনা বিধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে পুজো কমিটি যথেষ্ট সতর্ক ছিল। দর্শকদের মধ্যে তারা মাস্ক বিতরণ করেন এবং মাঝে মাঝে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়।
পুজো কমিটির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণকারী প্রতিটি শিল্পীর হাতে একটি করে মেমেণ্টো তুলে দেওয়া হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডালিম মুন্সী।
দর্শকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুজোর প্রাণপুরুষ শান্ত সরকার ও স্হানীয় তৃণমূল নেতা লাল্টু সেখ। শান্ত বাবু বললেন – উৎসব সবার। প্রত্যেকের কাছে করোনাবিধি বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ ভাবে আনন্দ উপভোগ করার জন্য তিনি আবেদন করেন। তিনি আরও বলেন – যেভাবে স্হানীয় শিল্পীরা তাদের শিল্পকলা প্রদর্শন করল তাতে আমরা মুগ্ধ।একই কথা বলেন লাল্টু বাবুও।