Spread the love

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নুতন করে তদন্তকারীদের রিপোর্ট তলব 

মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু
সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানি। এদিন এই মামলায় তদন্তকারীদের অর্থাৎ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং রাজ্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম ( সিট) এর কাছ থেকে বর্তমান অগ্রগতি রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। দাখিল রিপোর্ট টি একমাসকার পুরাতন, তাই নুতন করে রিপোর্ট তলব। যা আগামী ১৬ ডিসেম্বর এর মধ্যে জমা দিতে হবে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। ভোট পরবর্তী হিংসা  মামলায় সিবিআই এবং সিটকে নতুন করে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন  মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘরছাড়া রাজনৈতিক কর্মীদের তালিকাও এ দিন চেয়েছে আদালত ।পাশাপাশি এফআইআর দাখিল হলেই আর্থিক  ক্ষতিপূরণ নয় বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট আগেই জমা দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট ।তা  একমাস পুরনো হয়ে গিয়েছে সেই রিপোর্ট। তাই বর্তমানে সেই তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে, কত দূর এগোল, তা জানতেই নতুন রিপোর্ট চাইল কলকাতা  হাইকোর্ট।এ দিন মামলার শুনানি পর্বে ক্ষতিপূরণের প্রসঙ্গ তোলেন মামলাকারীদের অন্যতম  আইনজীবী প্রিয়াংকা টিবরেওয়াল।  এই প্রসঙ্গে বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন  মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, -‘আগে তদন্ত শেষ হোক, তারপর ক্ষতিপূরণ’। মামলাকারী আইনজীবী  অভিযোগ করেন যে, -‘ রাজনৈতিক সন্ত্রাসে জন্য শ্যামনগরের কিছু বাসিন্দা এখনও বাড়িতে ফিরতে পারছেন না এবং তাঁরা কাজেও যোগ দিতে পারছেন না’ । কলকাতা হাইকোর্টের  প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ঘরছাড়া সেই সব মানুষদের দীর্ঘ তালিকা অ্যাডভোকেট জেলারেলকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে ।এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছিল – ‘এফআইআর হলেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে’।  তা বর্তমান বৃহত্তর বেঞ্চে সম্পূর্ণ তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি ক্ষতিপূরণ নয় বলে জানিয়েছে। আজ সিবিআই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৪০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে। এর পর গত ১৯ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।ইতিমধ্যেই এই মামলার নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে  নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার আবেদনে জানিয়েছিল, -‘ রাজ্যের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই’। এই পিটিশন নিয়ে  রাজ্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলায় কেন্দ্রের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, -‘ সিবিআইকে তদন্তের অনুমতি দেওয়ার বা সিবিআই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই রাজ্যের’।কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার এখনও পর্যন্ত ৪৩ টি এফআইআর দাখিল হয়েছে। উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে নেমে প্রথম সিবিআই যে মামলায় হাত দিয়েছিল সেটা বীরভূমের। ইলামবাজারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার চার প্রতিনিধি। ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের মৃত্যুর তদন্ত করার লক্ষ্যে যান তাঁরা। ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে এটাই ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার প্রথম হানা।এরপর ধীরে ধীরে রাজ্যের প্রায় জায়গায় তদন্তে নামে সিবিআই। ধরপাকর চালছে।তাই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে তদন্তকারীদের কাছ থেকে নুতন করে রিপোর্ট তলব করা হলো, যা আগামী ১৬ ডিসেম্বর এর মধ্যে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২৩ ডিসেম্বর। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *