ভাসছে পশ্চিম বর্ধমানের একাংশ এলাকা, জলের তলায় রেলপথ
জাহির আব্বাস,
চলতি বর্ষায় ভাসছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার একাংশ এলাকা। আসানসোলের একাধিক রেলরুট বিচ্ছিন্ন বলা যায়।।আসানসোলে দু’দিনের টানা বৃষ্টি আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। উদ্ধারকার্যে ইতিমধ্যেই নামানো হয়েছে সেনা। কালিপাহাড়ি ও নিমচার মধ্যে ট্রেন চলাচলও আপাতত বন্ধ।গত বুধবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত আসানসোলে বৃষ্টি হয়েছে ৪৩৪ মিলিমিটার মত। যা সর্বকালীন রেকর্ড বলেও জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।,এর আগে ২০১৮ সালে আসানসোলে বৃষ্টি হয়েছিল ১৯২ মিলিমিটার, যা এত দিন রেকর্ড ছিল। টানা বৃষ্টিতে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকায় জলের তলায়। আসানসোলের রেলপাড়, দিলদারনগর, চেলিডাঙা, নিয়ামতপুর, রানিগঞ্জ, বার্নপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। জল ঢুকেছে বহু বাড়িতেও। শিল্পাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে গাড়ুই এবং নুনিয়া নামে দু’টি নদী বয়ে গিয়েছে। সেই দুই নদীও বিপদসীমার উপরে। নদীর জলে বিস্তীর্ণ এলাকা এখন জলমগ্ন। এর উপর দুর্গাপুরের বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় বিপদ আরও বেড়েছে। অতীতে বহু বার প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটেনি বলে এলাকাবাসীদের দাবি। এর জেরে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অনেকেরই মত। জলমগ্ন আসানসোল নিয়ে পুরসভার প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যম কে বলেন, ”ডিভিসি যখন তখন জল ছাড়ছে। তার জেরেই এমন ঘটনা ঘটছে। টানা তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া নদীর ধারও দখল হয়ে গিয়েছে। তার জেরে জল নিকাশে সমস্যা হচ্ছে।”রানিগঞ্জে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগকারী বাইপাস রাস্তাটি গির্জা পাড়ার বাদামবাগান এলাকা দিয়ে রানিসায়ের মোড়ের কাছে উঠছে। এই রাস্তার মাঝে পুরণমল কলিয়ারির কাছে একটি কালভার্ট ধসে পড়েছে। ফলে বাইপাসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে কালভার্টের উপর মাটি সরে গিয়েই বিপত্তি টি ঘটেছে ।জল জমেছে রেললাইনেও। জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। তার জেরে কালিপাহাড়ি এবং নিমচার মধ্যে চারটি লাইন দিয়েই ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে। কিছু ট্রেনের পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায় ।দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এই এলাকার বাসিন্দারা।