শিক্ষক দিবস পালিত হলো ব্যাণ্ডেলে
নীহারিকা মুখার্জ্জী
কোভিড বিধিকে মান্যতা দিয়ে প্রায় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে নিজ বাসভবনে গত ১০ ই সেপ্টেম্বর 'শিক্ষক দিবস' পালন করলেন হুগলির ব্যাণ্ডেলের জনপ্রিয় গৃহশিক্ষিকা শুক্লা সাহা। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ শুরু হওয়া প্রায় চার ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানটি নৃত্য, সঙ্গীত ও আবৃত্তি পাঠে ভরপুর ছিল। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কেন্দ্রের ছাত্র ছাত্রীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। শুধু তাই নয় শুক্লা দেবী সহ উঁচু শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা 'শিক্ষক দিবস' কি এবং কেন পালন করা হয় সেই তথ্য নবীন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরেন। এমনকি তাদের নীতিমূলক উপদেশও দেওয়া হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে স্নাতক স্তরের ছাত্র ছাত্রীদের শৃঙ্খলাপরায়নতা ছিল প্রশংসনীয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিক্ষা কেন্দ্রের প্রাক্তন ছাত্রী নিকিতা মুখার্জ্জী।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে অরিজিৎ, শুভজিৎ, সৌহার্দ্য, সুমনা, মেঘনা, ইপ্সিতা, পায়েল, পিয়ালী, অষ্টমীরা খুব খুশি। প্রতি মুহূর্তে তাদের চোখে মুখে ধরা পড়ছিল খুশির আনন্দ।
জানা যাচ্ছে অনুষ্ঠানটিকে সফল করার জন্য গত এক মাস ধরে সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের রীতিমত তালিম দেওয়া হয়। অনেক প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
স্নেহা, পল্লবী, বৃষ্টিদের বক্তব্য - আমরা এখানে দীর্ঘদিন ধরে পড়ছি। এখানে না এলে জানতেই পারতাম না 'শিক্ষক দিবস' মানে কেবলমাত্র শিক্ষকের হাতে উপহার তুলে দেওয়া বা খাওয়া দাওয়া নয় দিনটার একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে। তাছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে আমাদের খুব আনন্দ হয়। অন্যরা সমস্বরে তাদের বক্তব্যকে সমর্থন জানায়।
শুক্লা দেবী বললেন- অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত বিষয় পড়ালেও উচ্চ শ্রেণিতে আমি মূলত কলা বিভাগের বিষয় বিশেষ করে বাংলা ও সংস্কৃত পড়াই। অনেকের একাধিক গৃহশিক্ষক আছে। আমার প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকে যাতে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য গত বিশ বছর ধরে আমি ১০ ই সেপ্টেম্বর দিনটি বেছে নিয়েছি। আমার লক্ষ্য শ্রদ্ধেয় রাধাকৃষ্ণাণকে শ্রদ্ধা জানানো এবং ছাত্র ছাত্রীদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করা।