Spread the love

অস্বাভাবিক ট্রেন দেরি- দুর্ভোগ যাত্রীদের,

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী

       করোনা আবহে দীর্ঘদিন ধরে স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবা বন্ধ। পরে স্টাফ স্পেশাল নাম দিয়ে কয়েকটি লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু করে।   যদিও তাতে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে দেওয়া হতোনা। এই নিয়ে বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্টাফ ট্রেনেও সাধারণ যাত্রীদের ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়। অন্যান্য লাইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে আপ ও ডাউন লাইনে চারটি করে ট্রেন চালানো শুরু হয়। তারমধ্যে একটি ট্রেনের রামপুরহাট থেকে ছাড়ার সময় সকাল ৯ টা নাগাদ। 
    কিন্তু নিত্য যাত্রীদের অভিযোগ ট্রেনটি অধিকাংশ দিনই নির্দিষ্ট সময়ের দেড় থেকে দুই ঘণ্টা দেরিতে চলাচল করে। স্বাভাবিক ভাবেই তারা গন্তব্যস্থলে বা কর্মক্ষেত্রে অনেকই দেরিতে পৌঁছায়। 
       স্বাস্থ্য দপ্তরের দুই মহিলা  কর্মী বুলি টুডু ও সুদেষ্ণা রায় নিয়মিত এই ট্রেনেই যাতায়াত করেন। নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশনে এলেও ট্রেনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। একই পরিস্থিতি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্হার কর্মী রামদাস মণ্ডলের। ক্ষুব্ধ রামবাবুর বক্তব্য - সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনের দিকে রেল দপ্তরের আদৌ নজর আছে? তাহলে কেন অনিয়মিত ট্রেন চলাচলের জন্য তারা কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না? তার আরও অভিযোগ -  স্টেশনে কর্মরত সহকারী স্টেশন মাস্টার পর্যন্ত যাত্রীদের ট্রেন সংক্রান্ত প্রশ্নের সঠিক জবাব দেননা, অথচ জেনেশুনে টিকিট কাউন্টার খুলে দেন। টিকিট কাটা যাত্রীরা গন্তব্যস্থলে যাওয়ার জন্য বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন না। 
    উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি বলে এবিষয়ে তাদের মতামত জানা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *