Spread the love

প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিরাপত্তাই কোয়াড সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ; প্রধানমন্ত্রী 

আবুল কায়েম,

, ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরের অঞ্চলে নিরাপত্তা অটুট রাখতে চার শক্তিধর দেশ কোয়াড সন্মেলনে যোগ দিয়েছে।গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার নিরাপত্তা ও সুস্থিতি, জলবাযু বদলের প্রভাব, কোভিড অতি মহামারী ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে। মোদী ছাড়াও ছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। বৈঠকের শুরুতে হিন্দিতে নিজের বক্তব্য রেখেছেন মোদী। বলেছেন, ‘আমরা চারটি দেশ ২০০৪ সালের সুনামির পর ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য একসঙ্গে এসেছিলাম। এখন সারা বিশ্ব করোনা অতি মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আরও একবার মানব কল্যাণের জন্য এক হয়েছি।’ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত পরিধি বাড়ানোর জন্য সক্রিয় চার দেশ। এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে একটি চিন-বিরোধী আঞ্চলিক অক্ষ জোরদার করতে ধাপে ধাপে সুর চড়িয়েছে নয়াদিল্লি। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পুরোদস্তুর এক সমুদ্রযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। যার ভূকৌশলগত কেন্দ্রে অবস্থানের কারণে ভারতের উপর ঝড়ঝাপটা আসার সম্ভাবনা প্রবল। তাই চিনের পাল্টা প্রতিরোধে আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো মহাশক্তিধর রাষ্ট্রের সঙ্গে জোট বেঁধেছে ভারত। অন্যদিকে, ফ্রান্স, রাশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকেও পৃথক ভাবে নিজেদের সঙ্গে রাখতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। শুধু মাত্র কোয়াড নয়, প্রয়োজনে সমুদ্রপথে চিনের মোকাবিলার জন্য পৃথক জোট গঠনও লক্ষ্য ভারতের। প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একাধিপত্য নিয়ে সরব বিশ্বের অনেক দেশই। এই বিষয়ে গত এক বছরে ভারত অনেকটাই সক্রিয়তা বাড়িয়েছে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক ভাবে। বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত ভাবে চিন, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এবং দক্ষিণ চিন সাগরে অন্য অনেক দেশেরই স্বার্থে আঘাত করছে, আন্তর্জাতিক আইন মানছে না, এই অভিযোগ আসিয়ান সদস্যদেশগুলি ছাড়াও আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার। কোয়াড বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমৃদ্ধি, মৈত্রী ও স্থিতিশীলতা আনাই লক্ষ্য চার গণতান্ত্রিক দেশের। এই মহাগোষ্ঠীই আগামী দিনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে পারবে।এখন দেখার চিন এই পরিস্থিতি তে কি করে? 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *