Spread the love

প্রকাশিত হলো ‘এখন তমোহা’ শারদ সংখ্যা,

নীহারিকা মুখার্জ্জী,

       যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের ৩ রা এপ্রিল। সাহিত্যচর্চার জগতে দেখতে দেখতে ছ'টা বছর  কেটে গেল। ইতিমধ্যেই আটটা সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। অবশেষে করোনা আবহে মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন অর্থাৎ ২ রা অক্টোবর খুবই সাদামাটা ভাবে,  ভার্চুয়ালি, হুগলির রিষড়া থেকে প্রকাশিত হলো 'এখন তমোহা' শারদ সংখ্যা। এটি সংস্হার নবম সংখ্যা। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত কবিদের করতালি ও প্রবল উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে পত্রিকাটি প্রকাশ করেন  সংশ্লিষ্ট পত্রিকা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তথা সাহিত্য প্রেমী সুরজিত সেনগুপ্ত। 
        জানা যাচ্ছে প্রায় সত্তর জন কবির কাব্য পত্রিকাটিতে স্হান পেয়েছে। জমা পড়া তিন শতাধিক কবিতার মধ্যে পক্ষপাতহীন ভাবে সেরা কবিতা বেছে নেওয়ার মত কঠিন কাজটি করেছেন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। এই কমিটির প্রত্যেকেই বাংলা কাব্য জগতের সুপরিচিত মুখ। পত্রিকাটির প্রচ্ছদ পরিকল্পনা ও অঙ্কন করেছেন বিশিষ্ট অঙ্কন শিল্পী তথা বাচিক শিল্পী  চিন্ময়ী সহিস এবং প্রচ্ছদটি খুবই দৃষ্টিনন্দন হয়েছে।
         ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান হলেও উপস্থিত কবিদের কবিতা পাঠ, সঙ্গীত পরিবেশন, সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা ইত্যাদি সব মিলিয়ে এক ঘণ্টার অনুষ্ঠানটি খুবই জমজমাট হয়ে ওঠে। পরিবেশনার গুণে এক সময় মনে হচ্ছিল সবাই যেন কোনো এক হলঘরে পাশাপাশি বসে সাহিত্য আলোচনায় মেতে উঠেছেন। পত্রিকাটির সহ সম্পাদিকা তথা অনুষ্ঠানের প্রধান সঞ্চালিকা তৃষা গাঙ্গুলি অনিবার্য কারণবশত উপস্থিত থাকতে না পারার জন্য তার অনুপস্থিতিতে সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সম্পাদক সুরজিত সেনগুপ্ত স্বয়ং।  তার অনুপস্থিতিতে সবার মন খারাপ হলে সুরজিত বাবু সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন -  তিনি খুব শীঘ্রই আবার আগের মত অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন।
        প্রসঙ্গত করোনা আবহে পত্রিকা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে  'মুখোমুখি - এখন তমোহা' নামক একটি সাহিত্যচর্চা গ্রুপ গড়ে তোলা হয়েছে। বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে প্রতি রবিবার সমাজ মাধ্যমে এক ঘণ্টার একটি সান্ধ্য সাহিত্য সংক্রান্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার বিষয়বস্তু হয় রবীন্দ্রনাথ, সুকান্ত প্রমুখদের মত বিখ্যাত কবিদের সৃষ্ট কাব্য-সাহিত্য। 
   আজকের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি প্রণব বসুরায়, কাজী আব্দুল মান্নাফ, হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচেতা বিশ্বাস, তুলিকা বিশ্বাস, উদয়ন চক্রবর্তী,চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী, শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ অধিকারী

চিন্ময়ী সহিস, বন্যা গুপ্ত, সোমা সেনগুপ্ত, পারমিতা কয়াল প্রমুখ।
নিজেদের অমূল্য সময় নষ্ট করে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সুরজিত বাবু প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানান। পরে বলেন – ইচ্ছে ছিল কবিদের উপস্থিতিতে পত্রিকাটি প্রকাশ করা হবে এবং সবার হাতে একটি করে পত্রিকা তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এর বিকল্প কিছু পাওয়া যায়নি। শারদ সংখ্যার জন্য যারা কবিতা পাঠিয়ে ছিলেন তাদের প্রত্যেককে তিনি ধন্যবাদ জানান। যে কবিতাগুলি পত্রিকায় স্হান পায়নি সেগুলি যথেষ্ট উন্নত মানের হলেও সীমিত পৃষ্ঠা সংখ্যা হওয়ার জন্য সেগুলি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। এরজন্য তাকে আক্ষেপ করতেও দেখা যায়। তার আশা সবার মিলিত প্রচেষ্টায় একদিন পত্রিকাটি বাংলা সাহিত্য জগতে বিশেষ স্হান দখল করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *