“গিরিকান্তার স্তব্ধ পাথার চির উন্নত শির
দুর্গম যত দুর্দমে রাখে চরণচিহ্ন বীর “।।
২৭ সেপ্টেম্বর, সেখ সামসুদ্দিনঃ পাহাড় যাদের হাতছানি দেয় নিয়ত, চার দেওয়ালের আবদ্ধতা বোধ হয় তাদের কাছে শৃঙ্খলসম।আর তাই প্রকৃতির আহ্বানে বারে বারে সাড়া দিয়ে বেরিয়ে পড়ে ভ্রাম্যমাণ মন অজানাকে জানতে, অচেনাকে চিনতে।এক অপার্থিব উন্মাদনা, দুর্গমতাকে অতিক্রম করার এক অনাস্বাদিত রোমাঞ্চ মনন-চিন্তনকে আবিষ্ট করে।শুরু হয় বিমূর্তকল্পে যাত্রা।তেমনই এক ট্রেকিং টিমের আট সদস্যের যাত্রা ছিল কল্পেস্বর থেকে রুদ্রনাথের পাহাড়ি পথ। কল্পেস্বর আর রুদ্রনাথ হলো হিন্দুদের পঞ্চ কেদারের দুই কেদার । এই দুটি সংযোগ স্থল পথ অত্যন্ত দুর্গম। সেটাই ছিল গন্তব্য। এই ট্রেক ছিল একটু modarte type। কলপেস্বর থেকে রুদ্রনাথ। যারা অল্প কিছু ট্রেক করেছে তাদের সাথেই যাত্রাটা ছিল। ছিল কিছুটা উচ্চতায় মানিয়ে নেওয়া। কেমন হয় অধিক উচ্চতা।কি পরিবেশে খাপ খাওয়াতে হয় ট্রেকারদের এইসব দেখতেই যাওয়া নতুনের কাছে। সাথে দুর্লভ দর্শনীয় দারুন দারুন সব ভ্যালি। আর প্রকৃতিকে একটু কাছ থেকে দেখা। টিম লিডার ওমর ফারুক বলছেন–“আমার চেষ্টা ছিল ওদের সাথে উচ্চতার পরিচয় করিয়ে দেওয়া, সঙ্গ দেওয়া “।
এই দলটিতে যারা ছিলেন:
সেখ ওমর ফারুক (টিম লিডার)
লাবনী দাস(অ্যাডভান্স মাউটেন কোর্স), অভিজিৎ, কৃষ্ণেন্দু সরকার, সুভাষ পাল, অর্ক চক্রবর্তী, রতন দাস, পূরবী ব্যানার্জি। আর এই বৃহত্তর গন্ডির পরিক্রমণে যা কিছু ভালো মনে হয়েছে তার সবটুকুই হৃদয়ে জড়ানো ছিল ট্রেকিং টিমের। তাই প্রথমেই তাঁদের মনে হয়েছিল “টিম আঁচল”এর কথা। একটা অটল বিশ্বাস আর অমেয় আবেগকে সাক্ষী করে টিম আঁচলের নামাঙ্কিত পতাকা তাঁদের হাত দিয়ে উড্ডীন হয় বৃহত্তর হিমালয়ে । এ যে এক অনন্য অনুভূতি, এক ভীষণরকম প্রাপ্তি। টিম আঁচলের পক্ষ থেকে পুরো দলটিকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও আগামী দিনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানান।