Spread the love

‘পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চাপে রয়েছেন’, হরিশ রাওয়াত 

এস.মন্ডল
গত বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং কংগ্রেসের প্রতি অভিযোগ তুলেছিলেন। শুক্রবার তার জবাব দিলেন পাঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত।তিনি ক্যাপ্টেনের প্রতি কংগ্রেসের অসম্মান নিয়ে বলেন-‘ একথা মিথ্যা। তাঁকে দলের সকলেই সম্মান করে।’ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, -‘মনে হচ্ছে ক্যাপটেন চাপে আছেন’। মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার পর থেকেই জল্পনা চলছে, অমরিন্দর বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি দিল্লিতে এসে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। এই খবর শোনার পরে অনেকের ধারণা হয়, বিক্ষুব্ধ অমরিন্দর বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। যদিও বৃহস্পতিবার ক্যাপটেন নিজে বলেছেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না। তবে কংগ্রেসেও আর থাকবেন না। পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার জন্য অমিত শাহের সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। পাঞ্জাবে বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস বাকি থাকতে তাঁকে সরিয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড দলিত চরণজিত চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রী করায় ক্ষুব্ধ, অপমানিত বোধ করছেন অমরিন্দর। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর অমরিন্দর ট্যুইট করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁকে নয়া কৃষি আইন বাতিল, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করে সমস্যা সমাধানের আবেদন করেছেন। রাজধানী সফরে অমরিন্দর দু’দফায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার, দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ দেওয়ায় ধন্যবাদ দিতে কংগ্রেস অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন বলেও গতকাল দাবি করেছিল কয়েকটি সূত্র। তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রে বলা হয়, উনি এআইসিসি প্রধান সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্‍ করবেন। অমরিন্দর কিন্তু অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেও সনিয়ার কাছে যাননি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত্‍ সিং সিধুকে নিয়ে দলের মধ্যে যে টালমাটাল চলছে, তা নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার চিঠি দিয়ে বিভিন্ন রাজ্যকে জানায়, ১ অক্টোবরের বদলে ১১ অক্টোবর থেকে খারিফ ধান সংগ্রহ শুরু করতে হবে। কারণ অসময়ে বৃষ্টির জন্য ধান পাকতে দেরি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জানা যায়, চান্নি প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন, পাঞ্জাবে যাতে ১ অক্টোবর থেকে ধান সংগ্রহ শুরু করা যায়, সেজন্য তিনি নিজে যেন হস্তক্ষেপ করেন।পাঞ্জাবে আর কয়েক মাস পরেই বিধানসভার নির্বাচন রয়েছে। তাই রাজনৈতিক চাঞ্চল্য রয়েছে কংগ্রেস, বিজেপির মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *