আমিরুল ইসলাম,
, গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তালিবান। আর এই তালিবানদের কট্টর সমর্থকদের বাস পাকিস্তানে।অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ৫৫% পাকিস্তানি আফগানিস্তানের তালিবানদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। গ্যালাপ পাকিস্তান নামে একটি সংস্থার করা সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য।চলতি বছরের গত ১৩ অগাস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৪০০ জনের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে এই সংস্থা তাদের রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানেই দেখা গেছে যে, তালিবানের আফগানিস্তান দখলে খুশি ৫৫ শতাংশ পাকিস্তানি। তার মধ্যে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ার বাসিন্দাদের মধ্যেই বেশি সংখ্যক সমর্থন এসেছে। এছাড়াও বেলুচিস্তান ও পাঞ্জাবের মানুষও সমর্থন জানিয়েছেন। এই রিপোর্টে আরও দেখা গেছে, যারা সমর্থন জানিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৬৮ শতাংশের বয়সই পঞ্চাশের বেশি। এমনকি ৫৮ শতাংশ পুরুষ আছে সমর্থনের তালিকায়। সেখানে মহিলাদের সংখ্যা অনেকটাই কম। গত ১৫ অগাস্ট কাবুল দখল করে তালিবানরা। এক কথায় বলা যায় বিনা যুদ্ধেই আফগানিস্তানকে তালিবানের হাতে দিয়ে দেশ ছাড়েন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনি। কয়েকমাস ধরে আফগানিস্তানের একাধিক জায়গায় ঘাঁটি গেড়ে লড়াই চালায় তালিবানরা। আফগান সেনারা পেরে ওঠেনি তালিবানি শক্তির কাছে। গত ১৫ আগস্ট কাবুলে রাষ্ট্রপতি ভবন দখলের মধ্যে দিয়েই ফের তালিবানি সাম্রাজ্যের সূত্রপাত ঘটে আফগানিস্তানে। তবে, তালিবান দখলের পর থেকেই আফগান থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের থেকে যাওয়া মানুষেরা আফগানিস্তান ছাড়তে ব্যস্ত। একটাই আবেদন, তাঁরা তালিবান মুক্ত জমানায় বাঁচতে চায়। নিজেদের প্রাণ বিপন্ন করে দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েছেন অনেকেই। সেইসব মর্মান্তিক দৃশ্যের ভিডিও নেটিজেনদের চোখে জল এনে দিয়েছে। এমন চিত্র যখন একদিকে, তখন পাকিস্তানের মানুষের সমর্থন মিলছে তালিবানদের। যদিও পাকিস্তানের তরফে সর্বদাই তালিবানকে সমর্থন জানানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় মিষ্টি বিলি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তালিবান শাসকদের। তবে কিছু সংখ্যক পাকিস্তানি তালিবানের সমর্থন জানায়নি। যদিও সংখ্যাটা অনেকটাই কম। মাত্র ২৫ শতাংশ। এতে কি যায় আসেনা তালিবানদের।সিংহভাগ যেখানে সমর্থক, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই উজ্জীবিত তালিবান।