Spread the love

নিশুতি রাতের ক্রন্দন

ইন্দ্রানী গুপ্ত

আর একটা নিস্তব্ধ রাতের সাক্ষি রয়ে গেলাম আমি
কিছু নিরব অবিশ্বাস আর কিছু চাপা দ্বীর্ঘশ্বাসেরও
ঝুল বাড়ান্দায় গায়ে চাদর মোড়ানো আমি
গ্রিলের ফাঁক গলে উড়ে আসা কুয়াশায় ল্যাম্পপোস্টের
আলো পড়ে অদ্ভূত ভুতূরে দৃশ্যের নিরব সাক্ষী আমি।
দুরে ঠায় হয়ে থাকা গাছগুলোর পাতা থেকে
টুপ করে ঠিক ক ফোটা শিশির বিন্দু ঝড়েছে তার
হিসেব করেছি আমি কড়ায়-গন্ডায়।
নিস্তব্ধ রাত্রীরে কোনোও নারীর চাপা কান্নার
আওয়াজ
করেছে আমায় ব্যাতিব্যাস্ত।
কে ও??
আমার চোখের কোণ বেয়ে পড়ে চলেছে
শুধু দু ফোঁটা
নোনা জল।
আমি কাঁদিনি মোটেও।
কারন সাক্ষিদের কোনো আবেগ থাকতে নেই।
দুরে আরো একটু দুরে ধীরে বয়ে চলেছে যে নদী-
তার বুকে আজ নেই কোনো ঢেউয়ের ছলাৎ ছল
সেটাও বোধহয় শুধু আমারই গোচরে ঘটে চলেছে ।
নাকি আরো কোথাও কোনো এক ঝুল বাড়ান্দায়
রয়েছে বসে অন্য কোনো এক রমনীও
সেও হয়তো আমার মতো করেই আরো কোনো
নিশুতি রাতের উপন্যাসের নিরব সাক্ষী রয়ে গেল।
এইতো !!!
আর কিছুক্ষন বাকি সময়ের
তারপর পূর্ব গগনে উঠে যাবে সেই টুকটুকে লাল সূর্যটাও
রাত্রির হবে শেষ,
কিন্তু সেই যে কোনো একটা অবিশ্বাস
মাখানো দ্বীর্ঘশ্বাস;শিশিড় বিন্দুর
ঝড়ে পড়ে যাওয়া
এসবকিছুই থেকে যাবে আড়ালে।
বুকে জমানো ছাই চাপানো অনুর্বর জমীনে।
তোমরাও কি শুনতে পাও
সেই নারীর ক্রন্দন???

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *