দুয়ারে সরকার – লঙ্ঘিত হচ্ছে কোভিড বিধি,
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
এক শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর কর্তব্যে গাফিলতি বা অন্য কোনো কারণে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা থেকে সাধারণ মানুষের বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায়। অভিজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর চোখে অভিযোগের সারবত্তা ধরা পড়ে। সেই ত্রুটি দূর করার জন্য তিনি গতবছরের শেষের দিকে 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্প চালু করেন। উদ্দেশ্য
সাধারণ মানুষের সমস্যা দূর করা এবং সরকারি প্রকল্পের সুযোগ তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। বিভিন্ন ক্যাম্পে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়েছিল সবার জন্য চালু করা ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড তৈরির লাইনে। প্রথম ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে তিনি বছরে দু’বার এই প্রকল্পের ক্যাম্প চালু করার কথা ঘোষণা করেন এবং ঘোষণা অনুযায়ী গত ১৬ ই আগষ্ট থেকে রাজ্যের সমস্ত প্রান্তে এই ক্যাম্প শুরু হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে মহিলাদের জন্য চালু করা এবারের নতুন প্রকল্প ‘লক্ষীর ভাণ্ডার’-এর সুযোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট লাইনে সবচেয়ে বেশি ভিড় হবে এবং সাধারণ দূরত্ব বজায় থাকবে না ও কোভিড বিধি লঙ্ঘিত হবে ।
আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণ করে দিয়ে প্রতিটি ক্যাম্পে মহিলাদের ভিড় হচ্ছে যথেষ্ট। মানা হচ্ছেনা যথাযথ কোভিড বিধি। করোনা আবহে ভিড় দেখে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাদের আশঙ্কা এখনো করোনা পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। এদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ দরজার চৌকাঠে অপেক্ষা করছে। এমতাবস্থায় এই ভিড় নতুন করে বিপদ ডেকে আনবেনাতো?
অনেকের মতে অযথা ভিড় এড়ানোর জন্য পঞ্চায়েত এলাকায় বুথ এবং পৌর এলাকায় ওয়ার্ড অনুযায়ী রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে একটি করে ‘টিম’ তৈরি করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যোগ্য প্রাপকদের হাতে ফর্ম দিয়ে সেই ফর্ম পূরণ করে ক্যাম্পে জমা দেওয়া যেতেই পারে। যেসব ওয়ার্ডে একাধিক বুথ আছে সেখানে বুথ অনুযায়ী ফর্ম বিলি করা যেতে পারে। ভোটার তালিকার নাম্বার দেখে কেউ বাদ গেলে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। অনেকের মতে একাধিক ‘হেল্প ডেস্ক’ চালু করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেতেই পারে।
এখন দেখার করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাকে মান্যতা দিয়ে সবদিক বজায় রেখে ‘লক্ষীর ভাণ্ডার’ লাইনে ভিড় এড়িয়ে বিভিন্ন এলাকায় ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পকে সফল করার জন্য নতুন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা?