Spread the love

দলত্যাগ আইন কার্যকর করতে হাইকোর্টে দাখিল বিজেপির মামলা , 

মোল্লা জসিমউদ্দিন,
একুশে বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশ পরবর্তীতে বেশ কয়েক জন গেরুয়া বিধায়ক নাম লিখিয়েছেন জোড়াফুল শিবিরে। তাতে বেকায়দায় থাকা বঙ্গ বিজেপি এবার দারস্থ কলকাতা হাইকোর্টে।সোমবার  দলবদলুদের  বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মামলা করতে কলকাতা হাইকোর্টে যান বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী ।  বাংলার রাজনীতিতে চলতি বছরে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে দু ধরনের ভিন্ন  স্রোত দেখা গেছে। বিধানসভা ভোটের আগে দেখা গিয়েছিল একে একে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসছেন রাজনৈতিক নেতারা। শুভেন্দু অধিকারী নিজেও শাসকদলের হাত ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। বড় নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূক স্তরের কর্মী পর্যন্ত সকলের মধ্যেই দলবদলের হিড়িক দেখা গিয়েছিল ভোটের আগে। তবে  এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। দুশোর বেশি আসনে জয়লাভ করে রাজ্যে  তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তারপরেই দেখা গেছে উলটপুরাণ। এবার একে একে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরেছেন অনেকে। প্রথমেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধরান বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা মুকুল রায়। তিনি তৃণমূলে ফিরলেও কৃষ্ণনগরের বিধায়কের পদ ছাড়েননি। এমনকি পিএসি চেয়ারম্যানও হয়েছেন বিজেপির বিধায়ক হিসেবেই। তখনও নন্দীগ্রামের বিধায়ক হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, দলত্যাগ বিরোধী আইনে পদক্ষেপ করার কথা। এরপর একে একে আরও বেশ কিছু বিজেপির টিকিটে জয়ী বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেই এদিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আদালত থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে আইনের বিচার চেয়েছি মহামান্য আদালতের কাছে। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে বলেছি। গোটা দেশের সব বিধানসভায় এটা হয়, তবে পশ্চিমবঙ্গে কেন হবে না? আমরা আদালতের উপর আস্থাশীল। বিচারব্যবস্থা গণতন্ত্রের বড় স্তম্ভ।মামলা দাখিল হলেও কবে শুনানি রয়েছে তা অবশ্য এখন জানা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *