Spread the love

ডিসান হাসপাতাল অভিনব উদোগ্যের মাধ্যমে পিতা-সন্তানের বন্ধনকে একটা নতুন রূপ দিয়েছে

কলকাতা, ১৫ জুন, ২০২৪ – ডিসান হাসপাতাল শনিবার “ফাদার্স ডে” উপলক্ষে ‘ডিসানকিডস চ্যাম্পিয়নশিপ – ফাদার্স ডে স্পেশাল’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের বিশেষত্ব ছিল বসে আঁকো প্রতিযোগিতা এবং কিছু মজাদার কার্যক্রম যা বাবাদের প্রতি শিশুদের ভালবাসা এবং প্রশংসা প্রদর্শন করে। ডিসান এছাড়াও ‘ডিসান কিড্স ক্লাব’ সদস্যদের অর্থাৎ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিশুদের ‘হেল্থ প্রিভিলেজ কার্ড’ প্রদান করেছে।

এই প্রতিযোগিতায় কলকাতা জুড়ে বিভিন্ন স্কুল থেকে ২ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সী ১০০ জনেরও বেশি সংখ্যায় প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিল। এই শিল্পীরা তাদের আঁকার মধ্যে ভালোবাসাকে ফুটিয়ে তুলেছে যা তাদের নিষ্পাপ মন এবং তাদের বাবাদের প্রতি গভীর ভালোবাসাকে প্রতিফলিত করেছে। আঁকা গুলি একটি শিশু এবং তাদের পিতার মধ্যে এক অনন্য বন্ধনের প্রমাণ, আনন্দ, যত্ন এবং সাহচর্যের মুহূর্তগুলির প্রতিরূপ।

ডিসান হাসপাতাল গ্রুপের ডিরেক্টর শাওলি দত্ত ; ডিসান হাসপাতাল কলকাতার জেনারেল মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং এইচওডি ডাঃ তাপস রায়; সিনিয়র পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভিস্ট ডাঃ বিচিত্রভানু সরকার; সিনিয়র কনসালট্যান্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এবং নবজাতক বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনির্বাণ বসু এবং কনসালটেন্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরিজিতা চ্যাটার্জি-এর উপস্থিতিতে এই বসে আঁকো প্রতিযোগিতা টি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও বিভিন্ন কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ডিসান হাসপাতাল গ্রুপের ডিরেক্টর শাওলি দত্ত শিশুদের আঁকাগুলি দেখে অভিভূত হন। তিনি বলেন, “আজ আমরা এই ছোট শিল্পীদের তুলির মাধ্যমে ভালবাসার সবচেয়ে বিশুদ্ধতম রূপটি প্রত্যক্ষ করেছি। প্রতিটি আঁকা একটি শিশুর হৃদয়ের একটি জানলা ছিল, যা আমাদেরকে দেখায় যে তারা তাদের বাবাদের কতটা ভালোবাসে। আমরা বিশ্বাস করি শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য নয়, মানসিক সুস্থতার জন্যও এই ধরণের অনুষ্ঠানগুলি একটি শিশুর বিকাশে বড় ভূমিকা নেয় এবং দৃঢ় পারিবারিক বন্ধনের গুরুত্বকে আরও জোরদার করে। শিশুদের এই অনুভূতিগুলিকে এত সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে দেখে, আমাদের সকলকে মনে করিয়ে দেয় যে তাদের সন্তানদের জীবন গঠনে পিতার ভূমিকা কতটা অপরিসীম।”

এই সুন্দর উদ্যোগের মাধ্যমে, ডিসান হাসপাতাল মনে করিয়ে দিয়েছে যে একজন বাবার কাজ প্রায়শই অলক্ষ্যে চলে যায়, কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না এমনটা কখনোই নয়। শিশুদের চোখে এবং এই শিল্পের মাধ্যমে, তারা এই নায়কদের সম্মান করেছে, যাদের সর্বশ্রেষ্ঠ মাস্টারপিস শুধুমাত্র দেয়ালে ঝুলছে না, বরঞ্চ আমাদের চোখের সামনে হাঁটছে, হাসছে এবং বেড়ে উঠছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *