Spread the love

জীবন কে বাজী রেখে স্পুটনিক ভ্যাক্সিন ট্রায়ালে যুক্তদের সম্মান দেবে আদালত? 

নিজস্ব প্রতিনিধি, 

মারণ ভাইরাস করোনার জেরে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে জনজীবনে এসেছে দুর্ভোগ । করোনার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কবে আসবে, এলেও তা কতটা সুরক্ষিত, এই প্রশ্নই তখন ঘুরপাক খেয়েছে প্রত্যেক ভারতবাসীর মনে। এরপর কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, স্পুটনিকের  মতো তিনটি ভ্যাকসিন এলো ভারতে। প্রত্যেক ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক গবেষণায় জীবন বাজি রেখে অংশগ্রহণ করলেন অনেকেই। গন্ডগোল হলো  রাশিয়ায় তৈরি স্পুটনিক ভ্যাকসিন ঘিরে। দেশজুড়ে স্পুটনিকের পরীক্ষামূলক গবেষণায় অংশ নেওয়া কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবীরা যোদ্ধার সম্মান তো পেলেনই না, উল্টে সার্টিফিকেটটুকুও জুটল না। রাজ্যে সরকারি অনুমোদিত সার্টিফিকেট পাননি প্রায় ৫০ জন। অথচ যাঁরা ওই ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁরা সবাই সার্টিফিকেট পেয়েছেন।এর ফলে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্পুটনিকের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের।কেন তাঁরা বঞ্চিত হলেন এবং কবে তাঁদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে? এই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি করেছেন শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক নামে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিত্‍সক।গত বছর ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত স্পুটনিক ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক টিকাকরণ চলে ভারতে। পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর সাধারণের জন্য ওই ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেয় আইসিএমআর। অন্য ভ্যাকসিনের মতো এই ভ্যাকসিনেরও নির্দিষ্ট ডোজ নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের কো-উইন আপ থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। এখন অভিযোগ, যাঁরা স্পুটনিকের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। এএফলে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ওই ব্যক্তিদের।জানা গিয়েছে, কলকাতায় যে ৫০ জন ওই টিকা নিয়েছিলেন তাঁদের কেউই স্পুটনিক সার্টিফিকেট আজ পর্যন্ত পাননি। এ নিয়েই গত মঙ্গলবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলকারীর আইনজীবী মোহিত গুপ্ত জানিয়েছেন , ‘দেশের কোভিড যুদ্ধে যাঁরা সামিল হলেন তাঁরা কেন এখনও সার্টিফিকেট পাবেন না? ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, প্যান কার্ডের মতোই এই মুহূর্তে অত্যাবশ্যক ভ্যাক্সিনেসন সার্টিফিকেট। জীবন বাজি রেখে পরীক্ষামূলক গবেষণায় অংশ নেওয়া প্রত্যেকের সার্টিফিকেট সুনিশ্চিত করার আবেদন নিয়ে আমরা হাইকোর্টে সওয়াল করব। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে জনস্বার্থ মামলাটির দ্রুত শুনানি চেয়ে।’ এখন দেখার আদালত কি করে এহেন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *