‘জনগননায় বৈষম্য চাইনা’ সুপ্রিম কোর্ট কে কেন্দ্র
সেখ সামসুদ্দিন,
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট কে কেন্দ্র পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিলো – ‘ জনগননায় বৈষম্য চাইনা তারা’। পাশাপাশি মহারাষ্ট্র সরকারের জাতপাতের ভিক্তিতে জনগননায় সায় নেই কেন্দ্রের।কেন্দ্র এর দাবি, -ওবিসিদের মধ্যে আবার আলাদা আলাদা করে জাতির উল্লেখ করলে ত্রুটিমুক্তভাবে সেই তালিকা তৈরি করা একপ্রকার অসম্ভব।গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের তরফে হলফনামায় জাতিগত জনগণনার ক্ষেত্রে একাধিক আপত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রশাসনিকভাবে জনগণনার ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ করা একপ্রকার অসম্ভব। আর যদি করাও হয়, সেটাও থেকে যাবে অসম্পূর্ণ এবং ত্রুটিপূর্ণ। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র অনুরোধ করেছে – গ্রামীণ এলাকার ওবিসিদের আর্থ-সামাজিক তথ্য যেন জনগণনায় উল্লেখ করা না হয়। ২০১১ সালের পর চলতি বছরই দেশের জনগণনা হওয়ার কথা। তবে করোনা মহামারীর জেরে সেই প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে। চলতি বছরের জনগণনার ক্ষেত্রে তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি বাদে অন্য কোনও ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী ওবিসিদের ক্ষেত্রেও আলাদা আলাদা জাতির উল্লেখ রাখা হবে না। শুধু ওবিসি বলেই উল্লেখ করা হবে। অনেকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিজেপিরই জোটসঙ্গী তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ।এমনকি প্রধানমন্ত্রী দরবারে গিয়েছে তারা। জনগণনার ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ করার কেন্দ্র বরাবরই বিরোধী। আবার মহারাষ্ট্র সরকার সেই রাজ্যের ওবিসি জনসংখ্যার হিসাব করতে চায়। সেজন্য তাঁরা কেন্দ্রের কাছে ২০২১ জনগণনায় রাজ্যের ওবিসি জনসংখ্যার পরিমাণ কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র সেই তথ্য দিতে আপত্তি জানিয়েছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, ২০১১’র জনগণনার তথ্য ত্রুটিপূর্ণ এবং অসম্পূর্ণ। তাই ওই তথ্য ব্যবহারযোগ্য নয়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের স্পষ্ট অবস্থান, জনগণনার ক্ষেত্রে জাতির উল্লেখ করলে, সেই তালিকা হবে ত্রুটিপূর্ণ। তাই এই ধরনের তালিকা তৈরির অনুমতি যেন মহারাষ্ট্র সরকারকেও না দেওয়া হয়।এখন দেখার সুপ্রিম কোর্ট কি রায় দেয় জনগননা নিয়ে?