Spread the love

জঙ্গি হামলার আশংকা উৎসব আবহে,জারি হাই এলার্ট

গোপাল দেবনাথ

উৎসব আবহে জঙ্গি হামলার আশংকা রয়েছে। তাই দেশের রাজধানী দিল্লি জুড়ে জারি করা হয়েছে হাই এলার্ট। গত শনিবার রাতে দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্তানা প্রশাসনিক বৈঠক সেরে এই নির্দেশ জারি করেছেন।  উৎসব মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে রাজধানীতে। মানুষ করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন। আর এই ভীড় কে হাতিয়ার করতে পারে সন্ত্রাসীরা । ভিড়ের আড়ালে লুকিয়ে বড়সড় নাশকতা ঘটাতে পারে তারা। জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকতে পারে সাইবার ক্যাফে, রাসায়নিক ফ্যাক্টরি, পার্কিং লটে। তাই এসমস্ত এলাকায় কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লি পুলিশ কমিশনার। এই সমস্ত দোকান বা সংস্থায় কর্মরত কর্মী এবং ভাঙাচোরা পুরনো জিনিস বিক্রেতাদের নাম-পরিচয়-ঠিকানা খোঁজ নিয়ে দেখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গোয়েন্দা বিভাগের খবর অনুযায়ী পেট্রল পাম্প বা তেলের ট্যাঙ্কারকে নিশানা করতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা।দিল্লির পুলিশ কমিশনারের মতে, নাশকতা রুখতে স্থানীয়দের সাহায্য প্রয়োজন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। জঙ্গিদের চিহ্নিত করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা। তাঁর কথায়, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য ছাড়া দিল্লিতে নাশকতা ঘটানো সম্ভব নয়। স্থানীয় দুষ্কৃতী, গ্যাংস্টার কিংবা মৌলবাদীরা এ ধরনের হামলায় সাহায্য করতে পারে।’ তাই আমজনতাকে চোখ-কান খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার। নিজেদের এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির আনাগোনা দেখলেই সতর্ক হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। বাড়িতে ভাড়া দেওয়ার সময় ভাড়াটিয়াদের পরিচয়পত্র জমা রাখার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।প্রসঙ্গত, গত মাসেই দিল্লি ও তত্‍-সংলগ্ন এলাকা থেকে কয়েকজন জেহাদিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যার জেরে বানচাল হয়ে যায় রাজধানীতে নাশকতার ছক। এবার ভিড়ে মিশে সেই দিল্লিকেই নিশানা করতে পারে জেহাদিরা। তাই আগেভাগেই সতর্কতা জারি করল পুলিশ। দিল্লির বাসিন্দাদের চোখ-কান খুলে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশ কর্তা।গত  শনিবার স্থানীয় আমন কমিটি, কো-অর্ডিনেটক-সহ অটো এবং রিকশা সংগঠনের মাথারাও বৈঠকে হাজির ছিলেন। কোনও সন্দেহজনক গতিবিধি নজকে পড়লেই পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাদের।এর পরেই জারি করা হয়েছে হাই এলার্ট। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *