Spread the love

জুলফিকার আলি,

গোল্ড মেডেলিস্ট ক্যারাটে প্রশিক্ষকের জীবন যেন দুর্বিষহ

ছোটোবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল ক্যারাটে শিখে বড় যোদ্ধা হওয়ার।
সেই মোতাবেক নিজের উদ্দ্যমে ক্যারাটে শিখেছিলেন দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ডোম পাড়ার কিশোর মাদুলি।
বসতবাড়ি গ্রাস করেছিল কংসাবতী নদী, ভেঙে পড়েছে চার দেওয়াল, কোনোরকম তাতেই মাথা গুঁজে রয়েছে কিশোর মাদুলির পরিবার। এ যেন ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো।
একসময় তিনি নিজে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ নিজেই প্রশিক্ষক হয়ে উঠেছেন। যে কোনো শত্রু ঘায়েল করতে পারেন ক্যারাটের ম্যাজিকে। বহু সংস্থার ক্যারাটে প্রতিযোগীতায় বহু মেডেল ছিনিয়ে এনেছেন তিনি।
জাপানের ক্যারাটে ফেডারেশন থেকে ডিগ্রী লাভ করার সাথে সাথে
গুজরাটে কিক বক্সিং, মনিপুরে ব্ল্যাকবেল্ট, জাতীয় ক্যারাটে গেমসে ২০১০ সালে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে গোল্ড ও সিলভার পদক জয় করে। দিল্লীতে ২০০৮ এ সার্টিফিকেট পায়,পাশাপাশি প্রায় কুড়িটিরও বেশি জয়ের সার্টিফিকেট আনতে পেরেছিল ক্যারাটে মাস্টার কিশোর মাদুলি।
ক্যারাটে জয়ে গোল্ড মেডেল নিজের বাড়িতে তুলেছিল পাঁশকুড়ার দুঃস্থ পরিবারের কিশোর মাদুলি।
কিন্তু ভাগ্য তাঁকে সাথ দেয়নি বললেই চলে। স্বপ্ন থাকলেও আর্থিক অনটনে লেখাপড়া তেমন করতে পারেননি তিনি। সেক্ষেত্রে চাকরি মেলা তাঁর জন্য যেন দুস্কর হয়ে উঠেছিল। তবু হাল ছাড়েনি সে, ক্যারাটেতে পাকাপোক্ত হয়ে উঠতে পেরেছে। তবে লকডাউনে ক্যারাটে শেখানো বন্ধ রাখতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *