Spread the love

গুসকরা পুরসভায় চলছে করোনা ভ্যাকসিন

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী

       করোনা অতিমারিতে গত প্রায় দু'বছর ধরে স্বাভাবিক জনজীবন কার্যত স্তব্ধ। মানুষ গৃহবন্দী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে করোনাকে হারানোর জন্য 'হার্ড ইমিউনিটি'-র প্রয়োজন। এর জন্য সমস্ত মানুষকে দ্রুত ভ্যাকসিন দিতে হবে। দ্রুত ভ্যাকসিনের লক্ষ্যে সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলার স্হানীয় প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। পেছিয়ে নাই গুসকরা পুরসভা।
        মাঝে সরবরাহ জনিত ঘাটতির জন্য গতি একটু কম থাকলেও সরবরাহ স্বাভাবিক হতেই  ভ্যাকসিন দেওয়ার গতি আবার বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্যকর্মী ও পুরকর্মীদের ত‍ৎপরতায় এবং ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষের সহযোগিতার জন্য নুন্যতম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই গত কয়েকদিন ধরেই চলছে ভ্যাকসিন দেওয়া-নেওয়ার কাজ। লাইনে থাকা প্রায় প্রতিটি মানুষ করোনা বিধি মান্য করে ব্যবহার করছে মাস্ক। পুরসভার সূত্রে জানা যাচ্ছে প্রায় ত্রিশ হাজার বেশি মানুষকে প্রথম ডোজ এবং দশ হাজারের বেশি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মঙ্গলকোট, ভাতার ব্লক সহ পুরসভার বাইরের লোকজনও আছে।
       ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসেছিলেন গুসকরা পুরসভার শীলা আঁকুরে, মঙ্গলকোটের রণিতা চ্যাটার্জ্জী প্রমুখ। রণিতা তো বলেই ফেললেন - একে তো অন্য ব্লক থেকে এসেছি, তার উপর ভিড়। ভেবেছিলাম ফিরে যেতে হবে। কিন্তু শিবিরের ভারপ্রাপ্ত কর্মীদের তৎপরতা দেখে আমি মুগ্ধ। একই কথা বললেন শীলা দেবী।
      ভ্যাকসিন শিবিরের ছবি তোলার কাজে ব্যস্ত  তৃণমূলের আই.টি সেলের সক্রিয় কর্মী রবিনাথ আঁকুরে বললেন- শুধু আজ (২২/১০) নয়, প্রতিদিনই সুশৃঙ্খলভাবে এখানে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে।
       সহযোগিতার জন্য ভ্যাকসিন শিবিরের সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী, পুরকর্মী, সিভিক ভলানটিয়ার সহ প্রত্যেককে অভিনন্দন জানিয়ে গুসকরা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য কুশল মুখার্জ্জী বললেন - যেভাবে ধৈর্য্য  সহকারে প্রত্যেকে শিবির পরিচালনা করছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আমরা পুর এলাকার বাইরের বাসিন্দাদেরও দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। কারণ তারাও মানুষ এবং আমাদের নেত্রীর বক্তব্য দলমত নির্বিশেষে কেউ যেন ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত না হয়। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বললেন - আশাকরি খুব শীঘ্রই আমরা পুর এলাকার প্রতিটি, সামান্য কয়েকজন বাকি আছে,  প্রাপককে তাদের প্রথম ডোজ দিয়ে দিতে পারব। যেহেতু দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে সময়ের পার্থক্যের বিষয়টি আছে তাই সেক্ষেত্রে একটু সময় লাগবে। তিনি সবাইকে আশ্বাস দিয়ে বলেন - পুরসভা সবার পাশে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *