Spread the love

গুসকরায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভা

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী

      এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়নি, শুধু ইঙ্গিত করা হয়েছে - খুব শীঘ্রই হতে চলেছে রাজ্যের কয়েকটি করপোরেশন সহ  শতাধিক পুরসভার নির্বাচন। প্রাথমিক ইঙ্গিত পেয়েই কার্যত তৃতীয় বারের জন্য বোর্ড গঠন করার জন্য ঘর গোছাতে নেমে পড়েছে গুসকরা তৃণমূল কংগ্রেস।
     ২০০৮ ও ২০১৩ সালে তৃণমূল বোর্ড গঠন করলেও ২০১৯ এর লোকসভা ও সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে বিরোধী বিজেপি গুসকরা পুরসভায় তৃণমূলের থেকে এগিয়ে থাকে। লোকসভা ভোটে ষোলটির মধ্যে মাত্র দুটিতে এবং বিধানসভা ভোটে কিছুটা উন্নতি করে সাতটি ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে থাকে। আত্মতুষ্টিকে নুন্যতম গুরুত্ব না দিয়ে শহর সভাপতি কুশল মুখার্জ্জীর নেতৃত্বে বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জোরদার প্রচার শুরু করে দিয়েছে। তাছাড়া বিজেপির কুৎসা সত্ত্বেও বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয় পৌর নির্বাচনকে আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে।
         গত ১৯ শে সেপ্টেম্বর ১৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি হাই মল্লিক, যুব নেতা মোজাম্মেল হোসেন, তৃণমূল কর্মী অরূপ কোনার, মানবী ভট্টাচার্য, তৃণমূল মহিলা নেত্রী সাধনা কোনার সহ অন্যান্যরা ২০৮ ও ২০৯ বুথের  তৃণমূল কর্মী ও এলাকার  বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তাদের মুখ থেকেই এলাকার সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন। কিছু সমস্যার দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। পরিশেষে কিভাবে এই ওয়ার্ডে আরও বিপুল ভোটে জেতা যায় তারও পথ খোঁজার চেষ্টা করেন। প্রসঙ্গত গত লোকসভা ভোটে এই ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় ১৫০ ভোটের ব্যবধানে বিজেপির কাছে পরাজিত হলেও বিধানসভা ভোটে সেই ব্যবধান মুছে ফেলে জয়ের মুখ দেখে।  
   সাধনা দেবী বলেন - আমরা সুখে-দুখে সর্বদাই মানুষের পাশে থাকি। এবার  মূলত আসন্ন পৌরসভা ভোটে জয়ের ধারা বজায় রাখতে আমরা পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এলাকার মানুষের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছি। তাদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করছি। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ থেকে এলাকাবাসী যাতে বঞ্চিত না হয় সেদিকেও নজর রাখছি।
       কুশল বাবু বলেন - এটা ঠিক ভোট প্রচার বলা যায়না। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সারাবছর মানুষের পাশেই থাকে। এলাকার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে । আমাদের নেত্রীর লক্ষ্য দলমত নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেওয়া। 'দাদা' অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ ভোটের ফল যাইহোক না কেন কোনো মানুষ যেন সরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়। সেইসব বিষয় সম্বন্ধে জানার জন্যই প্রতিটি ওয়ার্ডেই দলীয় কর্মীরা এলাকাবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করছে।  বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে যদি কোনো সমস্যা থাকে সেগুলি সমাধানেরও চেষ্টা করা হচ্ছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *