পুলিশ দিবসে গলসী থানার পুলিশ কর্মীদের অভিবাদন
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
গত ১লা সেপ্টেম্বর পুলিশ দিবস উপলক্ষ্যে গলসী ২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গলসী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দীপঙ্কর সরকার সহ সকল পুলিশ আধিকারিক ও সিভিক ভলাণ্টিয়ারদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন খন্ডঘোষ বিধানসভার বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ ও গলসী বিধানসভার বিধায়ক নেপাল ঘরুই , গলসী ২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজন মণ্ডল , ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি সুজিত সাম, যুব সভাপতি হেমন্ত পাল, যুব কর্মী বাপ্পা চ্যাটার্জ্জী, সাঁকো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহ: আলী মোল্লা, গলসী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা ব্লক মহিলা সভানেত্রী সেখ শাহানাজ, গলসী ১নং ব্লক যুব সভাপতি পার্থসারথি মন্ডল, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি জাকির হোসেন, তৃণমূল নেতা সুন্দর পাসোয়ান সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা।
প্রসঙ্গত এতদিন 'পুলিশ দিবস' বলে আলাদা ভাবে কিছু ছিল না। পুলিশের কাজ ছিল দিনরাত পরিশ্রম করে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা। বিনিময়ে কিছু প্রত্যাশা না করা। কিন্তু গতবছর করোনা আবহে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার বাইরেও পুলিশের আত্মত্যাগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীকে মুগ্ধ করে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক পুলিশ কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। তার পরেও দায়িত্ব পালন থেকে পেছিয়ে না গিয়ে অসুস্থদের রক্তদান, করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, দুস্থদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করা সহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক দায়িত্ব পুলিশ কর্মীরা পালন করে গেছে। পুলিশের ভূমিকাকে সম্মান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর উদ্যোগে রাজ্য সরকার প্রতি বছর ১ লা সেপ্টেম্বর দিনটি ‘পুলিশ দিবস’ হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে পুলিশের জন্য এক গুচ্ছ সুবিধার কথাও ঘোষণা করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে গলসী ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে গলসী থানার ওসি সহ প্রতিটি পুলিশ অফিসার, পুলিশ কর্মী, সিভিক ভলাণ্টিয়ারের গলায় উত্তরীয় পড়িয়ে এবং হাতে ফুলের তোড়া ও মিষ্টির প্যাকেট তুলে দিয়ে সম্মান জানানো হয়। এই ধরনের সম্মান পেয়ে আধিকারিক সহ প্রতিটি পুলিশ কর্মী খুব খুশি।
গলসী থানার ওসি দীপঙ্কর সরকার বললেন - সমস্ত স্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকদের জন্য বিশেষ একটি দিন থাকলেও আমাদের জন্য কিছু ছিলনা। কিন্তু গতবছর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সেই আক্ষেপ দূর করে দিয়েছেন। এরজন্য আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। দায়িত্ব পালনের মাঝেও এই ধরনের সম্মান পেয়ে আমরা অভিভূত। এতে মানুষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যেমন দৃঢ় হবে তেমনি কাজের উৎসাহ বাড়বে।
অন্যদিকে সুজন বাবু বলেন - পুলিশ কর্মীরা আমাদের বাড়িরই সন্তান। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করে চলেছেন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আমাদের গলসী থানার পুলিশ বাহিনীকে সম্মান জানানোর সুযোগ পেয়ে আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। অন্যান্য সময় তো বটেই করোনা আবহে গলসী থানার ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়। এর জন্য ওসির মাধ্যমে বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি কর্মীকে অভিবাদন জানাই। আশাকরি আগামী দিনেও তারা গলসী থানার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখবেন।