Spread the love

জাহিরুল হক (রাজা মাস্টার),

সুন্দরপুর!এই গ্রামের নাম আজ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় মানুষের কাছে শোনা একটা নাম।কারণ গত অক্টোবর মাসের এক তারিখে ভয়াবহ বন্যায় বাঁধ ভেঙে নানুর থানার এই গ্রাম শেষ হয়ে যায়,যদিও প্রাণ হানি হয়নি।তবে শুধু বন্যার কারণে নয়,এই গ্রামকে আরো ভালো ভাবে মানুষ জানছে,বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানের জন্য দান ও উদ্যোগের জন্য।কারণ যে দিন থেকে এই গ্রামের মানুষ বানভাসি হয়েছেন,ঠিক সেইদিন থেকে এই গ্রাম কেরিম সাহেবের ধ্যান জ্ঞান হয়ে উঠেছে।প্রতিটি মানুষের আপনজন হয়ে গেছেন তিনি।গ্রামের বাসিন্দাদের সমস্ত খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি তাদের সমস্ত প্রয়োজন তিনি পূরণ করছেন।প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের কাছে ডেকে এনে তাদের সমস্ত সমস্যা তিনি জেনে সমাধান করছেন।গ্রামে প্রতি বছর দুর্গাপূজা হতো,কিন্তু এই প্রকৃতির ভয়ঙ্কর আঘাতে যখন তাদের বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল, ঠিক সেই সময় কেরিম সাহেব জানিয়ে দেন, প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও এই গ্রামে দুর্গাপুজো হবে এবং সেই ঘোষণা অনুযায়ী এই গ্রামে দুর্গাপূজা হচ্ছে, যার সমস্ত খরচ কেরিম সাহেব করছেন।গ্রামের মানুষ দারুন খুশি হয়েছেন কেরিম সাহেবের এই উদ্দ্যোগে।শুধু পুজোর ব্যাবস্থা করায় নয়, গ্রামের ছোট থেকে বড়,নারী থেকে পুরুষ প্রত্যেকের হাতে আজ সপ্তমীর দিন তিনি দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুজোর কাপড় তুলে দেন।গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন-বন্যা আমাদের সব কিছু কেড়ে নেওয়ার পর ভেবেছিলাম হয়তো সবকিছু শেষ হয়ে গেল,বেঁচে থাকবো কি ভাবে সেটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না।কিন্তু কেরিম সাহেব দেবদূতের মতো আমাদের পাশে এসে যে ভাবে দাঁড়ালেন তাতে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে না।সত্যিই কেরিম সাহেবের কাছে যা চেয়েছি সেটাই উনি পূরণ করেছেন।উনি আমাদের কাছে কল্পতরু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *