কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাবেন রাজ্যের বিদ্যুৎ কর্মীরা; হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু ,
রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে এখনও মামলা বিবেচনাধীন কলকাতা হাইকোর্টে।তবে রাজ্যের বিদ্যুৎ কর্মীদের ডিএ দিতে হবে কেন্দ্রীয় হারে।এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন ২৪% মতো। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন দুটি বিদ্যুৎ সংস্থার আপিল পিটিশন খারিজ করে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চালু করবার নির্দেশ দেন।উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের সিঙ্গেল বেঞ্চে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল পিটিশন দাখিল করে থাকে বিদ্যুৎ সংস্থা দুটি টি।এরফলে ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিদ্যুত্ সংস্থা গুলির কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে প্রাপ্য বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ মত। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যে শুনানি চলছিল তার এদিন রায় ঘোষণা হয়। কলকাতা হাইকোর্ট এর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, -‘সংস্থাগুলি আর্থিক অনটনের কথা বলে কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডি এ না দেওয়ার অজুহাত দিলেও তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, আয় ব্যায়ের ব্যালান্সশিটে স্পষ্ট, দুই সংস্থা এই সময়ের মধ্যে যথেষ্ট আর্থিক লাভ করেছে। ফলে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন কোম্পানি ও ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে তাদের কর্মীদের বকেয়া কেন্দ্রীয় হারে ডিএ মেটাতে হবে। এ ব্যাপারে কোনও টালবাহানা চলবে না’। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের বিরুদ্ধে বকেয়া ডিএ নিয়ে ওই মামলা করে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ড ইঞ্জিনিয়ারস অ্যাসোসিয়েশন। প্রসঙ্গত বিদ্যুত্ বণ্টন কর্মচারীরা আগে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পেতেন। তবে ২০১৬ সাল থেকে ডিএ কম করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বিদ্যুত্ বন্টন পর্ষদ। এর পরে ওই বছরেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের সিঙ্গল বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেন। যা নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল পিটিশন দাখিল করে থাকে বিদ্যুৎ সংস্থা দুটি। এই আপিল পিটিশন টি খারিজ করে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ কে বলবৎ রাখলো ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ মেটাতে হবে বিদুৎ সংস্থা দুটি কে।