Spread the love

ওয়াসিম বারি,


হরিয়ানার আইএএস অফিসার আউষ সিনহা তাঁর অধীনস্থ কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন – লাঠি মেরে কৃষকদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হবে। এই মন্তব্য ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য পড়ে যায়। হরিয়ানার কারনালে সরকারি অফিস ঘেরাও করে থাকে কৃষকরা।শনিবার হরিয়ানা সরকার ঘোষণা করে থাকে যে, অভিযুক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে।তদন্ত শেষ হবে এক মাসের মধ্যে। সেই সময়ের জন্য ওই অফিসার ছুটিতে থাকবেন। এরপরে কৃষকরা এখনকার মতো আন্দোলন প্রত্যাহার করে থাকে । এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর কার্যত আয়ুষ সিনহাকেই সমর্থন করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘অফিসারের ওই কথাগুলি বলা ঠিক হয়নি। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কঠোর হতেই হয়।’ ওই মন্তব্যে আরও অসন্তুষ্ট হন কৃষকরা। স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রধান যোগেন্দ্র যাদব বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, কোন আইনে মাথা ভেঙে দেওয়ার কথা বলা আছে?’ গত ২৮ অগাস্ট কারনালে কৃষকদের ওপরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছিলেন সুশীল কাজলা নামে এক কৃষক। পরে তিনি মারা যান। পুলিশ দাবি করে, হৃদরোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত গত মঙ্গলবার সকালে টুইট করে বলেন, সুশীল কাজলার মৃত্যুর বিচার চাইতে তাঁরা মহাপঞ্চায়েত বসাবেন ও বিক্ষোভ মিছিল করবেন। মনোহরলাল খট্টরের নির্বাচন কেন্দ্র কারনালে গোলমালের আশঙ্কায় আগে থেকেই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।গত  সোমবার রাত ১২ টা থেকে কারনাল কুরুক্ষেত্র, কাইথাল, জিন্দ এবং পানিপথে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। কারনালের ডেপুটি কমিশনার নিশান্ত কুমার যাদব শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেন। কৃষকদের ঠেকানোর জন্য শহরে ৪০ কোম্পানি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়।গত মঙ্গলবার বিকালে কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পুলিশ। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। কৃষকরা মিছিল করে সরকারি দফতরের দিকে এগোতে থাকেন। পথে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত, যোগেন্দ্র যাদব সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অবশ্য ছেড়েও দেওয়া হয় তাঁদের। একসময় পুলিশ মিছিলের ওপরে জলকামান ব্যবহার করে। রাতে কৃষকরা সরকারি অফিসগুলির বাইরে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নেন। গত সোমবার হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছিলেন, কৃষকরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। কিন্তু পুলিশও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। কৃষক নেতা গুরনাম সিং চাদুনি বলেন, আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ। এর আগে ৪০ টি কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা করে।এরপর কৃষকদের ঘেরাও কর্মসূচি তে একপ্রকার বাধ্য হয়েই আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত ঘোষণা করলো হরিয়ানা সরকার। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *