কিশোর কুমারের প্রয়াণ দিবস পালিত হলো হুগলিতে
নীহারিকা মুখার্জ্জী
১৯৮৭ সালের ১৩ ই অক্টোবর।
কার্যত বিনা মেঘে বজ্রপাত ঘটে গেল সঙ্গীত জগতে। সঙ্গীত প্রেমী মানুষকে অনাথ করে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী, নায়ক তথা চলচ্চিত্র পরিচালক কিশোর কুমার গাঙ্গুলি।প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি তাঁর প্রতিভার ছাপ রেখে গেলেও মানুষ তাঁকে সঙ্গীত শিল্পী হিসাবেই মনে রাখে এবং আজও তাঁর সঙ্গীত সমান জনপ্রিয় ।
গত ১৩ ই অক্টোবর ছিল এই মহান শিল্পীর ৩৫ তম প্রয়াণ দিবস। এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে হুগলির চুঁচুড়ার ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি ইউনিট’-এর উদ্যোগে বিগত বছরের মত এবছরও যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে দিনটি পালিত হয়। স্হানীয় প্রতাপপুর পার্কে প্রতিষ্ঠিত অমর শিল্পীর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং কিশোর প্রেমীরা। অনুষ্ঠানে প্রতিটি ব্যক্তি কিশোর কুমারের অমর কীর্তি স্মরণ করেন। যেহেতু করোনা জনিত নিষেধাজ্ঞা আছে তাই একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দিনটি স্মরণ করা হয়।
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্হানীয় কাউন্সিলর জয়দেব অধিকারী, ডঃ নীলাঞ্জন পাঠক, অমিতায়ু চ্যাটার্জ্জী, অভিজিৎ মুখার্জ্জী, বিশিষ্ট শিল্পী তথা শ্রদ্ধাঞ্জলি ইউনিটের সম্পাদক সঞ্জিত চ্যাটার্জ্জী সহ অন্যান্য কিশোর প্রেমী মানুষ।
কিশোর কুমারকে স্মরণ করার সঙ্গে সঙ্গে সঞ্জিত বাবু যাত্রা শিল্পী ও সঙ্গীত শিল্পীদের মঞ্চ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মমতাময়ী মমতা ব্যানার্জ্জীর কাছে আবেদন করেন। করোনার জন্য ২০২০ সালের শুরুতেই ভরা ‘সিজন’-এর মাঝপথে তাদের মঞ্চ ছেড়ে দিতে হয়। গতবছর পুজোর সময় তারা অনুষ্ঠান করার কোনো রকম সুযোগ পাননি। এমনকি এবারও পরিস্থিতি আপাতত একই রকম । ফলে অধিকাংশ শিল্পীর আর্থিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তাই তিনি শিল্পীদের পক্ষ থেকে মমতা ব্যানার্জ্জীর কাছে দ্রুত মঞ্চ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য করজোড়ে আবেদন করেন। অমর শিল্পীর শ্রদ্ধানুষ্ঠানে এই ধরনের আবেদন রাখার জন্য তিনি সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।