Spread the love

মানুষের পার্থিব এবং অপার্থিব জীবনের দৃশ্যমান এবং অনাগত সময়ের ঘটমান ঘটনাগুলির মধ্যে সেতুবন্ধন করার কাজটি করে জ্যোতিষশাস্ত্র।প্রাচীন ভারতের পরম্পরায় আমরা দেখতে পাই পরাশর মুনি, ভৃগু, বশিষ্ঠ প্রমুখ মহান ঋষিরা জ্যোতিষ চর্চা করতেন এবং শিষ্যদের মাঝে জ্যোতিষ জ্ঞান ছড়িয়ে দিতেন।বর্তমান সময়েও জ্যোতিষশাস্ত্রের চর্চা স্বমহিমায় সমাজে বিদ্যমান।

জ্যোতিষ অধ্যাপক ডাঃনীলাদ্রি নারায়ন বসু সেই চর্চার সুযোগ্য বাহক।বহুজাতিক একটি সংস্থার উচ্চ পদের চাকরি ছেড়ে তিনি জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং গত ১৬ বছর ধরে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।তিনি একদিকে হস্তরেখাবিদ।তেমনি দক্ষতা অর্জন করেছেন বৈদিক জ্যোতিষ এবং বাস্তুশাস্ত্রেও।খুব সম্প্রতি নীলাদ্রি বাবুর লেখা বাস্তুর উপর গবেষণাধর্মী একটি পেপার প্রকাশ পেতে চলেছে।

জ্যোতিষশাস্ত্রে হাতেখড়ি হয় তার বাবা সনাতন বসুর হাত ধরে।পরবর্তী সময়ে বৈদিক জ্যোতিষ বিষয়ে তালিম নেন সাকালা পূজালা মহারাজের কাছে এবং হস্তরেখা বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী পন্ডিত লাখরাজ শর্মার কাছে।

নিরন্তর এই চর্চা এবং দক্ষতার সাফল্যস্বরূপ তিনি অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।ইন্টারন্যাশনাল বৈদিক ফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ স্টেট হেড পোস্টের জন্য তিনি মনোনীত হয়েছেন।আগামী ২৩শে জুন দিল্লির রেডিসন ব্লু হোটেলে এক চেয়ার শিফটিং সেরেমনির মধ্য দিয়ে তিনি এই পোস্টে নিযুক্ত হবেন।সেখানে ওই অনুষ্ঠানে তিনি পুরস্কৃতও হবেন।বাস্তুর উপর লেখা তার পেপারটিও সেদিনই প্রকাশ পাবে ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে।বম্বের একটি নামকরা রিসার্চ সংস্থা থেকেও তিনি আমন্ত্রিত হয়েছেন।আগামী ২৮ শে জুলাই তিনি সেখানে উপস্থিত থাকবেন এবং পুরস্কার গ্রহণ করবেন।সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট অভিনেতা বোমান ইরানি ,সঞ্জয় কাপুর সহ আরও অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *