চিত্তরঞ্জনের কেজি হাসপাতালের গাফিলতিতে মেধাবী ইঞ্জিনিয়ার ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল ঘিরে বিক্ষোভ
কাজল মিত্র :-শনিবার দিন চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালের গাফিলতিতে মেধাবী ইঞ্জিনিয়ার ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার ক্ষোভে ফেটে পড়ে চিত্তরঞ্জন কারখার সমস্ত শ্রমিক ।
যার কারনে হাসপাতাল চত্তরে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় সকলে।
জানা গেছে যে গত ১১ সেপ্টেম্বর চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতাল থেকে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়েছিলো বি টেক ইঞ্জিনিয়ারিং এর পাশ করা ছাত্রী স্নেহা সাহা চৌধুরীর। স্নেহার বাবা তপন সাহা চৌধুরী চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মচারী ছিলেন।সোমবার তপনবাবু রেল ইঞ্জিন কারখানার যে শপে কাজ করেন সেই শপের সমস্ত কর্মীরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে কালো ব্যাচ পড়ে স্নেহার মৃত্যুর জন্য হাসপাতাল কতৃপক্ষকে দায়ী করে প্রতিবাদ জানান কারখানা চত্তরে ।তাদের দাবী স্নেহার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করে আগামী সাত দিনের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে ভয়ঙ্কর আন্দোলনের পথে যাবেন সকল কর্মীরা।
তারা এদিন হাসপাতালের তিন চিকিৎসক এর কাছে
দাবি করেন যে, কেজি হাসপাতালে রাতে মেল ওয়ার্ড, ফিমেল ওয়ার্ড সহ আইসিইউ বিভাগে একজন করে চিকিৎসক রাখতে হবে।
সেখান থেকে কর্মীরা তাদের দাবি জানিয়ে চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে চিফ পার্সোনেল অফিসারের সাথে দেখা করেন।তার কাছে হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে অত্যন্ত দ্রুত তদন্ত করে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এরপরপ কর্মীরা দেখা করেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সতীশ কুমার কাশ্যপের সঙ্গে।স্নেহার মৃত্যুর কারণ ও কর্মীদের অভিযোগের স্বচ্ছ ধারণা পাওয়ার জন্য শ্রী কাশ্যপ হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে তার কাছে ডেকে নেন।
সমস্ত কথা শোনার পর মৃত স্নেহার বাবা তপনবাবুর রূপনারায়ণপুরের ফ্ল্যাটে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কথা বলার জন্য পাঠান কারখানার জেনারেল ম্যানেজার। সেইমতো সিপিও এডি পতিদার, পিসিইই পিএম মিশ্র, এপিও বিপি নায়েক ও ওয়েলফেয়ার ইন্সপেক্টর বাবুল দাস সোমবার বিকেলে তপনবাবুর ফ্ল্যাটে গিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট গুরুত্ব সহকারে পরিবারের সদস্যদের সমস্ত কথা শোনেন ও তাদের সমবেদনা জানান। এই মৃত্যুতে খোদ জেনারেল ম্যানেজার যেভাবে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আধিকারিকদের পাঠিয়েছেন ,তাতে কর্মীরা আশাবাদী । জেনারেল ম্যানেজারের ভূমিকার তারা প্রশংসাও করেছেন । তবে একই সঙ্গে তারা স্নেহার মৃত্যুর সুবিচারও চেয়েছেন।