আসানসোলে সোনা চুরির ঘটনায় ভিনরাজ্য থেকে ধৃত ২,
পারিজাত মোল্লা, আসানসোল,
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে গোল্ড টেস্টিং ল্যাবে চুরির ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ । কর্নাটক ও মহারাষ্ট্র থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । গত ২৯ মে ওই চুরির ঘটনাটি ঘটে । আসানসোলের ঘাঁটিগলিতে গোল্ড টেস্টিং ল্যাবে দুঃসাহসিক চুরির কিনারা করল পুলিশ ।মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক থেকে 2 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । দোকানের মালিক সঞ্জয় সত্যবান চিঞ্চাকর আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করে দাবি করেছিলেন প্রায় ৮০০ গ্রাম সোনা, ১০ কেজি রুপো ও নগদ ২৮ হাজার টাকা চুরি হয়েছে । ধৃতদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম সোনা, ১৩ কেজি রুপো এবং নগদ সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ বলে জানা গেছে । তদন্তকারীদের অনুমান, ধৃতেরা অন্যান্য জায়গাতেও চুরি করেছে ।আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি(সেন্ট্রাল) এস কুলদীপ বলেন , – ”সোনা টেস্টিং ল্যাবে চুরির ঘটনার সাথেসাথেই পুলিশ তদন্তে নামে । ওই দিন রাত দেড়টার সময় ঘটনাটি ঘটেছিল । দোকানের সিসিটিভি খারাপ ছিল । তবে, ওই এলাকায় বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় , ওই রাতে ৫ জন সন্দেহভাজন দোকানের সামনের গলিতে ঘোরাঘুরি করছিল । দু’জন দোকানের গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢোকে । ভল্টের চাবি দোকানে টাঙানো থাকত” ।পুলিশ গোপন সূত্র মারফত জানতে পারে যে, আসানসোলের কোনও একটি হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছিল অভিযুক্তরা । চুরি করার পর তারা গাড়ি নিয়ে ধানবাদ পালায় । সেখান থেকে ট্রেনে মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটক চলে যায় অপরাধীরা । এর পর বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের ছয় সদস্যের একটি দল মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলায় যায় । তদন্ত চালিয়ে কর্নাটকের বেলগাভি থেকে দশরথ মানে নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তাঁর কাছে উদ্ধার হয় নগদ সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা । দশরথকে স্থানীয় আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে নেয় পুলিশ । এর পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার আটপাড়ি থানা এলাকা থেকে বিশাল নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তার কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম সোনা ও ১৩ কেজি রুপো উদ্ধার করা হয় । পুলিশ দু’জনকেই ট্রানজিট রিমান্ডে আসানসোলে নিয়ে এসেছে ।পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে -‘ ধৃত বিশাল ওই সোনা টেস্টিং ল্যাবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছিল । সে দোকানের খুঁটিনাটি সব কিছু জানত । পাশাপাশি দশরথ মানে আসানসোল ঘাঁটিগলিতে এবং মহারাষ্ট্রের আটপাড়িতে দোকান আছে। এই দুজনই মূলত মাস্টারমাইন্ড। তারা বাকি আরও তিনজনের সাহায্য নিয়ে চুরি করেছিল বলে পুলিশের দাবি। ধৃতদের শুক্রবার আসানসোল আদালতে তোলা হয় । ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।