Spread the love

আরজিকর মেডিকেল হাসপাতালে আন্দোলন কারী চিকিৎসকদের সতর্ক করলো হাইকোর্ট 


নিজস্ব প্রতিনিধি, 
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এর ডিভিশন বেঞ্চে আরজিকর মেডিকেল হাসপাতালে আন্দোলন নিয়ে মামলার শুনানি চলে। এদিন আরজিকর হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিত্‍সকদের সতর্ক করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এজলাসে জানান , ‘চিকিত্‍সা পরিষেবা বিঘ্নিত হলে তার দায় নিতে হবে আন্দোলনকারীদের।’ একই সঙ্গে আদালত জানায়,-‘ প্রতিবাদের নামে জঙ্গি আন্দোলন নয়। প্রতিবাদের আন্দোলন চরিত্র হারালে পদক্ষেপ করা  গ্রহণ করা হবে। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় , -‘এই মামলা নিয়ে আদালতের আগের নির্দেশ পালন করতে হবে আন্দোলনকারীদের। তা না হলে এরফল ভুগতে হবে তাঁদের। আর রোগীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। ,আজ অর্থাৎ  মঙ্গলবার ফের শুনানি রয়েছে ।আরজিকর হাসপাতালে পড়ুয়াদের আন্দোলন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। ওই মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের অবকাশকালীন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ‘রোগী পরিষেবা ব্যাহত না করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে পড়ুয়াদের’। সমস্যা সমাধানে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করতে নির্দেশ দেয় আদালত। তার পরও ২৯ অক্টোবর বৈঠক হয়। তবে তাতেও কোনও সমাধান সূত্র না মেলায় আন্দোলন জারি রাখে পড়ুয়ারা। সোমবার এই মামলাটি ফের শুনানির জন্য ওঠে আদালতে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এজলাসে জানান, -‘ রাজ্যের এই সরকারি  হাসপাতালে বিক্ষোভের জেরে রোগী  পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। হাসপাতালের প্রিন্সিপালকে হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের সব সমস্যার সমাধানে প্রস্তুত রাজ্য। কিন্তু তাঁরা প্রিন্সিপালের অপসারণে অবিচল। অকথ্য ভাষায় পোস্টার পড়ছে হাসপাতাল চত্বরে। আদালতের নির্দেশ মেনে প্রতিবাদ হচ্ছে না’।এই তথ্য উঠে আসতেই  প্রধান বিচারপতি কড়া ভাষায় মন্তব্য করেন, – ‘হাসপাতালে পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়া বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি দেখি যে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিক্ষোভ হচ্ছে, তা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ আদালতের এই নির্দেশে টনক কতটা নড়ে তার জন্য অপেক্ষায় শয়ে শয়ে রোগীরা।যারা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের দোরগোড়ায় এসেও ফিরে গেছেন অনেক সময়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *