Spread the love

আগরপাড়ায় দুই বাংলার চিত্রশিল্পীদের প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক অঙ্কন প্রতিযোগিতা সার্থক লাভ করল

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারত ও বাংলাদেশের শিক্ষার্থী চিত্রশিল্পীদের দুই বাংলার নববর্ষের ভাব বিনিময়ের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের যশোরে ও ঢাকায় এবং ভারতবর্ষের আগরপাড়ায় তিন দিনব্যাপী বিরাট আন্তর্জাতিক অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো। দুই দেশ মিলে প্রায় পাঁচশত প্রতিযোগী তিনটে বিভাগে অংশগ্রহণ করেছিল। এই প্রতিযোগিতার সকলের জন্য একটি বিষয় ছিল বাংলার নববর্ষ। গত ৭ই এপ্রিল যশোরে বিহঙ্গললিতকলা একাডেমীর প্রশিক্ষক কৃত্তিবাস হালদার, ঢাকাতে চারুপুথি অঙ্কন ও  হস্তশিল্প কেন্দ্রের প্রশিক্ষক 

এহসান প্রতীক এবং ভারতে পশ্চিমবঙ্গের আগরপাড়ায় চারুচন্দ্র আর্ট সেন্টার অংকন ও হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান দীপঙ্কর সমাদ্দার জানালেন -”  আজকের প্রজন্মের বাচ্চারা খুব সহজেই হ্যাপি নিউ ইয়ার নিয়ে উৎসাহে মেতে থাকে কিন্তু বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ শুভ নববর্ষ দিনটাকে নিয়ে অতটা চিন্তিত নয়”। ধীরে ধীরে বাংলার সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে এই কথা মাথায় রেখে দুই দেশের তিনজন চিত্রশিল্পী একসাথে মিলে একই বিষয়ের ওপরে আন্তর্জাতিক অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করল। এবং এই অভিনব অংকন প্রতিযোগিতায় অভূতপূর্ব সারা তারা পেয়েছেন, নির্দিষ্ট জায়গার কথা মাথায় রেখে বহু প্রতিযোগীকে তারা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে দিতে পারেন নি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। প্রতিযোগিতায় কোনরকম প্রবেশ মূল্য ছিল না। উদ্যোক্তারা জানালেন -‘বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় একটি নির্দিষ্ট প্রবেশ মূল্য সংস্থা করে দেয় কিন্তু সমস্ত প্রতিযোগীরা যাতে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য প্রতিযোগিতায় কোন প্রবেশ মূল্য রাখেনি’। সবথেকে বড় কথা এপার বাংলা ও ওপার বাংলার দুজন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মোঃ রবিউল ইসলাম ও সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় এর মত শিল্পীরা এই প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন। ভারতবর্ষের প্রতিযোগীদের সমস্ত ছবি ওপার বাংলার চিত্রশিল্পী বিচার করবেন এবং বাংলাদেশের সমস্ত ছবি ভারতের চিত্রশিল্পী বিচার করবেন। এই আন্তর্জাতিক অংকন প্রতিযোগিতায় দুই বাংলার শিক্ষার্থীর চিত্রশিল্পীদের পারস্পারিক চিন্তাধারা ভাব বিনিময় হবে এটাই সবথেকে উল্লেখযোগ্য। ভারতের প্রতিযোগীদের জন্য স্মারক প্রদান করেছেন কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির পক্ষে মোল্লা জসিমউদ্দীন উপহার ও কাগজ সহযোগী ছিল পোলো, ফুড পার্টনার গোপাল সুইটস। অনেক অভিভাবকরা জানালেন একই দিনে তাদের কলকাতার বড় বড় প্রতিযোগিতায় নাম লেখানো থাকা সত্ত্বেও তারা যখন এই প্রতিযোগিতার খবর পেয়েছেন সগৌরবে এই প্রতিযোগিতায় বাচ্চাদের অংশগ্রহণ করিয়েছেন। অভিভাবকরা এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং প্রত্যেকে প্রশংসা করেছেন। ৯ই এপ্রিল ভারতের চারুচন্দ্র আর্ট সেন্টারে যে সমস্ত প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করল তাদের প্রত্যেক অভিভাবক ও অভিভাবী কাদের প্রশংসা করলেন আর্ট সেন্টারের সম্পাদিকা ঝুমা সমাদ্দার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *