Spread the love

২৯ সেপ্টেম্বর, সেখ সামসুদ্দিনঃ অনলাইনে প্রতারণার ঘটনা ঘটল বর্ধমানে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হল শিক্ষক দম্পতির টাকা। বর্ধমান শহরের নীলপুরের বাসিন্দা শিক্ষক দম্পতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ২৮০০০ টাকা। প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও পাননি সুরাহা। বর্ধমান শহরের নীলপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষিকা উমা দত্ত গত ৩১ আগস্ট একটি রং এর দোকানে অনলাইনের মাধ্যমে ১৫০০০ টাকা পেমেন্ট করেন। কিন্তু দোকানদারের অ্যাকাউন্টে সেই অর্থ না পৌঁছানোয় উমা দেবী গুগল সার্চ করে এসবিআই-এর কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে টাকার বিষয়ে জানতে চান। উল্টোদিক থেকে তাকে একটি এ্যাপ ফোনে ডাউনলোড করতে বলা হয়। এ্যাপ ডাউনলোড করলে সাথে সাথে তিনি টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন বলে বলা হয়। কিন্তু এনি ডেস্ক এ্যাপ ডাউনলোড করার সাথে সাথে তার মোবাইলে ওটিপি আসে এবং ওটিপি জানানো মাত্র তার এ্যাকাউন্ট থেকে ৮০০০ টাকা গায়েব হয়ে যায়। উমা দেবী বিষয়টি জানতে চাইলে তার এ্যাকাউন্টে টাকা ফেরত দিতে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে তার স্বামীর এ্যাকাউন্ট নম্বর জানতে চাওয়া হয়। উমাদেবী তার স্বামী শিক্ষক লক্ষ্মীদাস দত্তর এ্যাকাউন্ট নম্বর দিলে সেখান থেকেও ২০০০০ টাকা উধাও হয়ে যায়। বিষয়টি যতক্ষণে শিক্ষক দম্পতির বুঝে উঠেছেন ততক্ষণে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ২৮০০০ টাকা চলে গেছে। প্রতারিত হওয়া বুঝতে পারে তারা গোটা বিষয়টি ব্যাঙ্ককে জানান। ব্যাঙ্ক থেকে পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ ও বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানান ওই দম্পতি। সাইবার ক্রাইম বিভাগ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হয় যে তারা তাদের প্রতারিত হওয়া অর্থ ফেরত পেয়ে যাবেন । এমনকি টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য সাইবার ক্রাইম বিভাগ থেকে তাদের ক্যান্সেল চেক ও অন্যান্য ডকুমেন্টস নিয়ে তৈরিও থাকতে বলা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পুলিশের তরফে তাদের সাথে যোগাযোগ না করা হলে তারা বিষয়টি নিয়ে সাইবার ক্রাইমে খোঁজ নিতে যান। সেখান থেকে তাদের বলা হয় তারা ওই টাকা ফেরত পাবেন না। স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ উমা দেবী ও তার স্বামী লক্ষ্মীদাস দত্ত। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম বিভাগ আরও একটু সক্রিয় হলে তারা তাদের প্রতারিত অর্থ ফেরত পেতে পারতেন বলেও আক্ষেপ করেন দম্পতি। লক্ষ্মীদাস বাবুর অভিযোগ তার এ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারিত অর্থ কোন না কোন অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে। পুলিশ ঠিক মত তদন্ত করলেই প্রকৃত দোষীদের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *