২৬ তম সাধারণ সম্মেলন আয়োজিত হলো অল ইন্ডিয়া ইন্সিওরেন্স এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের,
রাজকুমার দাস
প্রায় ৪৫ বছর পর কলকাতায় অনুষ্ঠিত হলো অল ইন্ডিয়া ইন্সুরেন্স এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের ২৬ তম সাধারণ সম্মেলন। শেষবার ১৯৭৮ সালে কলকাতায় এটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সারা ভারত থাকে এই সম্মেলনে সাড়ে তিন হাজার প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকবেন। এলআইসির প্রায় ৮৫ শতাংশ এর বেশি কর্মচারী এই সংগঠনের সদস্য।
সম্মেলনটি ৮ জানুয়ারি থেকে ১১ই জানুয়ারি পর্যন্ত জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ এন্ড রিসার্চের ক্যাম্পাসের অনুষ্ঠিত হবে।
৮ জানুয়ারি এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অর্থনীতিবিদ এবং কেরালার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাক, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক রতন খাসনবিস। ফাউন্ডার মেম্বার চন্দ্রশেখর বোস তিনিও এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত মিশ্র বলেন, AIIEA এলআইসি এর ৩. ৫ শতাংশ লিকুইডেশনের পরেও বিনিয়োগের বিরোধিতা করে। যদিও সংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকে তীব্র প্রতিবাদের সম্মুখীন হয়ে সরকার সংসদে ঘোষণা করেছে যে তারা এলআইসি তে বিনিয়োগ করা অর্থের ওপর সার্বভৌম গ্যারান্টি কখনোই প্রত্যাহার করবে না। আইপিওর সময় এলআইসি এর শেয়ারের মূল্যের অবমূল্যায়নের উদ্দেশ্য ছিল কর্পোরেট বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দেওয়া। শেয়ারের দামও অস্বাভাবিকভাবে কম রাখা হয়েছে। বীমা প্রিমিয়াম এর ওপর জিএসটি প্রত্যাহার করতে হবে যেহেতু এলআইসি মৌলিক সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করে তাই এটি আশ্চর্যজনক যে ১৮ শতাংশ জিএসটি তার পলিসি হোল্ডারদের কাছ থেকে নেওয়া হয়। তিনি আরো যোগ করেন এলআইসি এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র সঞ্চয়গুলির জন্য সরকার উৎসাহিত করছে না। এই মুহূর্তে একজন এলআইসি কর্মীর তিন হাজারটি পলিসিতে পরিষেবা দিচ্ছেন যা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। তাই নতুন কর্মীদের নিয়োগ করা আবশ্যক এবং ৩০ শতাংশ এলআইসি কর্মচারী আগামী দু বছরে অবসর নিচ্ছেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট সেক্রেটারি জয়ন্ত মুখার্জী, সভাপতি ভি রমেশ।