‘
সেখ রাজু,
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ২০২২ সালে নাম উঠলো পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের হাটমুড়গ্রামের আড়াই বছরের শিশু কন্যা হুমায়রা আনজুমের । মা যে নামটা সঙ্গে এক অন্তর্নিহিত ভালোবাসা জড়িয়ে আছে । কোন শিশুর মানসিক, শারীরিক এবং তার ভবিষ্যতের পথনির্দেশ করেন তার মা । বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মিডিয়ার খারাপ এবং ভালো গুণ আছে । শিশু মস্তিষ্কে মোবাইলের তুখোর প্রভাব মানসিক বিকাশে অনেকটাই ব্যাঘাত ঘটায় । তাই নাহিদা সুলতানা তার মেয়েকে সেই পথ থেকে দূরে রাখতে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করলেন । যাতে শৈশব অবস্থা কোন মতে ব্যাঘাত না ঘটায় তাই হুমায়রা আনজুমের মা মেয়ের সামনে এরকম কাজ করলেন না যাতে তার মেয়ের বুদ্ধি বিকাশে ব্যাঘাত ঘটে । মেয়ের সামনে বই পড়ার পাশাপাশি ছবি আঁকা, কবিতা এবং ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় মত্ত হলেন । সেই দেখেই তার মেয়ে হুমায়রা আনজুম নতুন ভাবনায় তার জীবন শুরু হয় । অল্প বয়স থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতার পরিচয় দেয় । এমত অবস্থায় নাহিদা সুলতানার শশুর আব্দুল জাব্বার ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’র তথ্য সামনে নিয়ে আসেন । সে থেকেই সেই বিষয়ে নতুন প্রস্তুতি শুরু করলেন নাহিদা সুলতানা । বাংলা কবিতা, কলেমা তৈয়ব, জাতীয় সংগীত, ইলেকট্রিক বিভিন্ন বস্তু, প্রতিটি মাসের নাম, প্রতিটি বারের নাম, শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম সহ ১৭টির বেশি প্রতিযোগিতামূলক ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে এলাকার নাম উজ্জ্বল করলো ছোট্ট হুমায়রা আনজুম । এই খুশিতে গ্রামের সকলেই খুশি । শৈশবকাল যদি সঠিক পথে এগিয়ে যায় তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয় । তার এক নিদর্শন হুমায়রা আনজুম । বিভিন্ন পদক্ষেপে প্রতিযোগিতার তথ্য সম্পন্ন করার পর কর্তৃপক্ষকে পাঠায় । সঠিক সময়ে তারা জানতে পারে তাদের ছোট আনজুম ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড’সে ২০২২ এ সাফল্য পেয়েছে ।