হাইকোর্টে পুলিশি নিস্ক্রিয়তা মামলা চলাকালীন মৃত্যু মামলাকারীর, ক্ষুব্ধ আদালত
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
রাজ্যে পুলিশি নিস্ক্রিয়তা কিংবা কোথাও অতি সক্রিয়তার অভিযোগ নুতন নয়।তবে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন মৃত্যু ঘটলো পুলিশি নিস্ক্রিয়তায় সুবিচার চাওয়া এক বিচারপ্রার্থীর।এই ঘটনায় পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করেছে ক্ষুব্ধ আদালত। এর সাথে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। মামলা চলাকালীনই এ ভাবে মামলাকারীর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। আদালত সুত্রে প্রকাশ, দিন কয়েক আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার এলাকায় খুন হন প্রসূন মন্ডল নামে ওই ব্যবসায়ী। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির ভাইকে কিছুদিন আগেই খুন হতে হয়েছিল। প্রাণনাশের হুমকি বারবারই দেওয়া হত প্রসূনকেও।স্থানীয় পুলিশকেও একাধিকবার সে কথা জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে। অভিযোগ পুলিশ সবকিছু জানা সত্বেও এতদিন ধরে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এরপর হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। আবেদনে জানানো হয়েছিল যে ভাই,সে ইতিমধ্যেই খুন হয়েছেন। এই মামলা চলাকালীন খুন হয়েছেন প্রসূন মন্ডল।আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে খুনের কথা শুনে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে নিহত মামলাকারীর পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশকে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি কতটা হয়েছে তা-ও জানতে চান বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে জেলাপুলিশের কাছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা চলাকালীন এ ভাবে একজন মামলাকারী খুন হলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিচারপতি। দীর্ঘ দিন ধরেই ব্যবসায়ী প্রসূনের সঙ্গে ওই প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। অভিযোগ, প্রসূনের জমির দলিল সহ বিভিন্ন কাগজপত্র জাল করে বিক্রিও করে দিয়েছে তাঁর প্রতিবেশীরা। তা নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। প্রসূনের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, গত সোমবার দুপুরে কুলপি ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরে এই মামলার সব পক্ষকেই ডাকা হয়েছিল। সেখানেই রওনা দিয়েছিলেন প্রসূন। কিন্তু বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে যাওয়ার পরই ওই প্রতিবেশীরা তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সেখানেই প্রসূনকে খুন করা হয়। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় স্থানীয় থানার পুলিশ।পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অবশ্য এ রাজ্যে নতুন নয়।বেশিরভাগ থানায় স্থানীয় শাসক দলের নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হয় বলে বিরোধী দলগুলির অভিযোগ। এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের পক্ষে সংশ্লিষ্ট ভূমি দপ্তরের কেউ ইনফরমার গিরি করেছেন কিনা তা মোবাইল ফোনের কললিস্ট সহ লোকেশন ট্রাক করে তদন্তকারীরা দেখুক বলে দাবি উঠেছে স্থানীয়দের একাংশদের তরফে।