Spread the love

স্টপেজ ও টিকিট দেওয়ার দাবি গুসকারা স্টেশনে 

জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,

  ; বন্ধ লোকাল ট্রেন দ্রুত চালু ও কয়েকটি ট্রেনের স্টপেজের দাবি জানাল পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকারা  তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।  করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। যাত্রীদের দাবি মেনে, সবগুলো না হলেও, চালু হয়েছে বেশকিছু লোকাল ট্রেন।সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে  বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেনজার, মালদহ টাউন হাওড়া ইণ্টারসিটি এক্সপ্রেস, শান্তিনিকেতন সুপার ফাস্ট সহ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট এখনো গুসকারা  স্টেশনের কাউণ্টার থেকে পাওয়া যাচ্ছেনা। হঠাৎ জরুরি প্রয়োজনে যাত্রীরা এইসব ট্রেনে আগের মত চাপতে পারছেনা। গুরুত্বপূর্ণ সময়ের কয়েকটি ট্রেন হয় পুরোপুরি বন্ধ অথবা আপ-ডাউন যেকোনো একটা ট্রিপে চলছে।  আপে সকাল ১০ টার পর পরবর্তী লোকাল ট্রেন বিকাল পাঁচটা নাগাদ। ডাউনেও একই সমস্যা। অথচ পূর্ব রেলের সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন গুসকরা থেকে আউসগ্রাম, মঙ্গলকোট ও ভাতার ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষদের ট্রেন ধরে অন্যত্র যেতে হয়। একইভাবে এই স্টেশনে নেমে গুসকরা শহরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মীরা যেমন যাতায়াত করে তেমনি স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, গৃহ শিক্ষকের কাছে পড়তে আসা ছেলেমেয়ে এবং শিক্ষক শিক্ষিকারাও এই স্টেশন ব্যবহার করে।  এদের মধ্যে যেমন নিত্যযাত্রী থাকে তেমনি সাধারণ যাত্রীও থাকে। রেল দপ্তরের পক্ষ থেকে এখনো সমস্ত লোকাল ট্রেন চালু না করা এবং স্টেশন কাউণ্টার থেকে সমস্ত ট্রেনের টিকিট না দেওয়ার জন্য সমস্ত স্তরের যাত্রীদের চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ।  এবার যাত্রীদের এইসব সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য ১৭ই ডিসেম্বর  গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কুশল মুখার্জ্জী গুসকরা স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক উত্তম দে-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তার সঙ্গে ছিলেন শহর কার্যকরী সভাপতি মলয় চৌধুরী, যুব সভাপতি উৎপল লাহা, তৃণমূল কর্মী পিণ্টু ঘোষ ও তৃণমূল আইটি সেলের কর্মী রবিনাথ আঁকুরে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্টেশন আধিকারিকের কাছে সমস্যাগুলি তুলে ধরা হয়। যাত্রীদের স্বার্থে আপাতত বন্ধ থাকা লোকাল ট্রেনগুলি দ্রুত চালু করা, পূর্বের মত স্টেশনের কাউণ্টার থেকে সমস্ত ট্রেনের টিকিট দেওয়ার দেওয়ার দাবির সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার দাবি তোলা হয়। স্টেশন আধিকারিক তাদের দাবি দ্রুত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।  পরে উত্তম বাবু বলেন – স্টেশন ম্যানেজার হিসাবে এই স্টেশনের যাত্রীদের চাহিদা হিসাবে আমার একটা সম্যক ধারণা আছে। যাত্রীদের স্বার্থে আমি অবশ্যই সমস্ত দাবিগুলির দ্রুত সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।  গুসকরার বাসিন্দা রামদাস মণ্ডল ডাউনে ৮ টা ৫১ মিনিটের আজিমগঞ্জ প্যাসেনজার ট্রেনে খানা জংশনে নেমে নিজের কর্মক্ষেত্রে যান। দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনটি বন্ধ থাকায় তিনি চরম সমস্যায় পড়ছেন। তার মত আরও অনেককেই একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে আসায় তারা খুব খুশি।    কুশল বাবু বললেন – এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীরা তাদের সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসে। বিষয়টি  আমরা দলের উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানাই এবং তাদের পরামর্শে স্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। স্টেশন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের দাবিগুলি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনায় আমরা খুশি। আশাকরি খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *