জাহিরুল হক (রাজা মাস্টার)
করোনার জন্য দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ আছে।ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল মুখো হয়নি প্রায় দুই বছর হতে চলল।রাজ্য শিক্ষা দফতরের নির্দেশ অনুসারে পড়াশুনা অন লাইনে শুরু হয়েছে । গত বছর থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্র ছাত্রীদের অন লাইন পড়া শুনার সুবিধার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দ্বাদশ শ্রেণীর প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে স্মার্ট ফোন বা ট্যাব কেনার জন্য দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।ছাত্র ছাত্রীদের একাউন্টে সেই টাকা সরাসরি ঢুকেও যাচ্ছে।ছাত্র-ছাত্রীরা দশ হাজার টাকার স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার প্রমান হিসাবে স্কুলে স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার রশিদ জমা করে।কিন্তু বহু ছাত্র-ছাত্রী ওই দশ হাজার টাকায় স্মার্টফোন না কিনে মোবাইলের দোকান থেকে রশিদ বানিয়ে নিয়ে স্কুলে জমা দিচ্ছে বলে অভিযোগ।আর এই সুযোগে মোবাইলের দোকানদাররা ছাত্র-ছাত্রীদের ভুয়ো রশিদ তৈরি করে দিয়ে 200 টাকা-700 টাকা করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ।মঙ্গলকোট থানার নতুনহাট এলাকাতেও এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে।দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্র বলে-আমি অনেকদিন আগেই স্মার্টফোন কিনে নিয়েছি,ফলে আমার আর স্মার্টফোন কেনার দরকার ছিল না,তাই দোকানদারকে একটা নকল রশিদ তৈরি করে দিতে বললাম,আমার কাছে তার জন্য 250 টাকা নিলো।এক অভিভাবক বলেন-মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রদের পড়াশুনার সুবিধার জন্যই দশ হাজার টাকা দিচ্ছেন,কিন্তু সেই টাকায় মোবাইল না কিনে নকল রশিদ জমা দিচ্ছে,ফলে সরকারি টাকার অপচয় হচ্ছে,সরকার বা প্রশাসনকে এই ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে,যে সমস্ত দোকানদার নকল রশিদ বানিয়ে টাকা নিচ্ছে তাদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।