‘শহরে কোথায় কোথায় ধর্ণা করা যাবে,কোথায় যাবেনা?’ বিজ্ঞপ্তি করতে পরামর্শ হাইকোর্টের
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশি অনুমতি বিষয়ক মামলার শুনানি চলে। নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধরনা করতে চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করে গ্রুপ-ডি ঐক্য মঞ্চ। কিন্তু স্থানীয় থানার পুলিশ সেই অনুমতি না দেওয়ায় মামলা যায় কলকাতা হাইকোর্টে। আর এদিন এই মামলাতেই বড় পর্যবেক্ষণ এবং পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সাম্প্রতিক সময়ে শহরের বুকে মিটিং-মিছিল করার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে / হচ্ছে। আর সেই পথেই এবার গ্রুপ-ডি ঐক্য মঞ্চ। তাঁদের (আবেদনকারী) ধরনার আবেদন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই বিষয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘শহরের কোথায় কোথায় ধরনা করা যাবে এবং কোথায় করা যাবে না সেটা নিয়ে একটা বিজ্ঞপ্তি জারি করা উচিত রাজ্য সরকারের। এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইনও করে দেওয়া দরকার রাজ্য সরকারের।’ শহরের বুকে মিটিং-মিছিল-ধরনা-অবস্থান করার ক্ষেত্রে একটা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি।আগামী ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর মহার্ঘ ভাতার দাবি নিয়ে নবান্নের সামনে দিনরাত টানা ধরনায় বসতে চেয়েছিল গ্রুপ-ডি ঐক্য মঞ্চ। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। আর এই অনুমতি পেতে মামলা গড়িয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে। আজ, শুক্রবার রাজ্যের আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করে বলেন, – ‘নবান্নের বাসস্টপ ওটা। ওখানে রাজনৈতিক কর্মসূচি করা যায় না।’ তখন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘এরা তো কোনও রাজনৈতিক দল নয়। এরা একটা ধরনা করতে চাইছে। পুলিশের বাধা দেবার কোনও অধিকার নেই।’ তখন রাজ্য বলে, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে নিষেধ করা হচ্ছে। ওরা অন্য জায়গায় ধরনা করুক।’ আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, ‘একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে দেখা করার জন্য। কিন্তু তিনি দেখা করেননি। তাই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।’ তখন বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ‘অন্য কোনও জায়গায় ধরনা করা যায় কি? যেখানে থেকে পাঁচজন এসে নবান্ন স্মারকলিপি জমা দেবেন। মুখ্যসচিব সেই স্মারকলিপি নেবেন। আর নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধরনা না করে আন্দোলনকারীরা ধরনা করতে পারবে মন্দিরতলা বাস স্ট্যান্ডের সামনে।’গ্রুপ ডি ঐক্য মঞ্চর ধর্নার আবেদন মঞ্জুর করে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘শহরের কোথায় কোথায় ধর্না করা যাবে কোথায় যাবে না এটা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা উচিত রাজ্য সরকারের। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইনও করে দেওয়া উচিৎ সরকারের।’