রাতের ঠিকানা
ইন্দ্রানী গুপ্ত
আজো একদল মানুষের রাতের ঠিকানা
নাগরিক ল্যাম্পপোষ্টের সংকির্ণ তলদেশ।
এখনো কিছু মানুষের খাদ্যের উৎস।
দামী হোটেলের উচ্ছিষ্ট।
দামী উচ্ছিষ্টেই তৃপ্ত হয়
সাধারন রাতের আনন্দ।
অথচ প্রতিদিন এইসব সংগ্রামী মানুষদের
উদ্ভাসিত সবপ্নে
শুরু হয় দিন।
বেড়ে উঠে সুন্দর হয় সভ্যতা।
মুখরিত হয় পৃথিবীর রাত।
সুঠাম বাহু আর শক্ত পেশির মানুষরাই
অবিশ্রান্ত পরিশ্রমে তৈরি করে
রাতের ক্যাসিনোর আলোসজ্জা।
মধুচক্রের শোভিত নারীর উড়না, ব্রা।
তোমাদের উদ্যোম নাচের ডায়াস।
অথচ তোমাদের আনন্দমুখর রাতে
এইসব সংগ্রামী মানুষদের সন্তানেরা
ক্ষুধায় করে হাপিত্যাশ।
বিমর্ষ পিতার ফ্যালফ্যাল চোখের ভাষা
বুঝে সুবোধ বাচ্ছারাও ব্যাঙ্গ করে সভ্যতাকে
করে তীব্র অভিমান…
গোধুলী ফুরিয়ে গেলে
দিগন্তের আবছায়ায় দিনের করুণ অবসান
সুর্য্য ডুবে যায়, আসে রাত্রি।
পৃথিবী জুড়ে নেমে আসে অন্ধকার
শুনশান নীরবতা জানিয়ে দেয়
এখন রাত্রি,
এখন পৃথিবী
শান্ত ও স্থির,
প্রশান্তির নেশায় বুঁদ
চতুর্দিকে ঘুমের আয়োজন।
এখন রাত্রি
প্রহরে প্রহরে অন্ধকার, জোনাকির খেলা।
আকাশের সীমানায় তারাদের মৃদু উৎসব
অন্ধকার পৃথিবীকে ঘিরে-
জীবনের গ্লাণি,
ক্লান্তি ঘৃণা ইত্যাদি এখনই
ভুলিয়ে দিবে আসন্ন রোমাঞ্চকর তন্দ্রা।
ঘুমে ঘুমে স্থির হবে সময়,
অন্ধকারে
পৃথিবীর ক্লান্ত দেহের নির্মহ,নির্লিপ্ত চোখে
নতুন আলোর অবারিত স্বপ্ন।