রসুলপুরে গাজন উৎসব:
ফকরুদ্দিন আলি আমেদ
বাঁকুড়ার পাত্রসায়েরের রসুলপুর শিব তলায় বাবা গঙ্গাধর জীউ এর গাজন উৎসব সম্পন্ন হল।এই গাজন উপলক্ষে বসেছিল মেলা। ভক্ত তথা সন্ন্যাসী প্রায় শতাধিক। গাজনের শেষ দিনে বিভিন্ন শিল্পীদের কে নিয়ে বসেছিল বাউল গানের আসর।
গাজন কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা তুষার কান্তি মুখার্জী জানান – বিশুদ্ধ পঞ্জিকা ও শাস্ত্র মতে গামার গাছের ডাল কেটে গাজন উৎসবের শুভ সূচনা হয়। মূলত এই গাজন চারদিনের এবং আশপাশের প্রায় সাত আট টি গ্রামের। বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ এই গাজনে ভক্ত তথা সন্ন্যাসী হন। এখানে উল্লেখ্য বিশেষ কারণে প্রায় 30 বছর এই গাজন উৎসব বন্ধ ছিল। এ বছর আবার নতুন উদ্যমে শুরু হল।
গাজন কমিটির আর এক অন্যতম কর্মকর্তা মঙ্গল বাগদি জানান- এখানে হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক মধুর ও মজবুত বরাবরের।
প্রাচীন রীতি মেনে লোহার পেরেক মারা কাঠের পাটাতনের উপর শুয়ে থাকে এক ভক্ত আর এক শ্রেণীর ভক্ত তথা সন্ন্যাসীরা জিভে বান ফোঁড়ে।
রসুলপুরের রিয়াজুল হক, পার্শ্ববর্তী তেলুড় গ্রামের এনামুল হোসেন আতাউর রহমানেরা জানান- আমরা জাতপাত নির্বিশেষে জাত পাতের ভেদাভেদ ভুলে এই গাজন উৎসব কে উপভোগ করি।