রক্তে থ্যালাসেমিয়া, আঁকায় জীবনের ছবি বাস্তবের “আনন্দ”-দের পাশে সেরাম
সম্প্রীতি মোল্লা ,
বিগত বছর গুলোর মতো সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন এর উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল থ্যালাসেমিয়া এবং এইডস সংক্রান্ত সচেতনতা মূলক এক আঁকা প্রতিযোগিতা গত ৪ ডিসেম্বর, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের কাছের সেরামের অডিটোরিয়ামে। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বাচ্ছাদের এই সব আঁকা যেন জীবনের কথা বলে। আশা জাগায় নতুন উদ্যমে বাঁচার। এ যেন ভালো থাকার, ভালো রাখার অঙ্গীকার। যাঁদের নিজেদের শরীরে এমন অসুখের বাসা তাঁদের আঁকায় উঠে আসে জীবনের ছবি। রবীন্দ্রনাথের কথায় বলা যায় “বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা, বিপদে আমি না যেন করি ভয়”। ঠিক যেন ওঁদেরও তাই প্রার্থনা। অনেকটা সেই “আনন্দ” ছবির “আনন্দ” চরিত্রের মতো, হাতে স্বপ্নের অনেক বেলুন নিয়ে ?হেঁটে চলে যাচ্ছে জীবনের গান গেয়ে। এই ছবি ব্যবহার হয়েছে সংস্থার ক্যালেন্ডারেও।প্রতিযোগিতার প্রথা মেনে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় করা হলেও পুরস্কৃত হন সকলেই।পুরস্কারে থাকে জীবনদায়ী ওযুধ। উদ্যেশ্য একটাই ওঁদের ভালো রাখা সাথে সাধারণ মানুষের মনে এই রোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই ছবি আঁকা প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ছিল এক বিশাল পদযাত্রা। সচেতনতা বৃদ্ধিতে নানা ট্যাবলো সাজানো হয়েছিল। কোথাও থ্যালাসেমিয়ার গান, কোথাও দুর্গার পুজোর ইউনেস্কোর স্বীকৃতির উদযাপন, কোথাও বাংলার ফুটবল তো কোথাও মূকাভিনয়ে থ্যালাসেমিয়া, এইডস নিয়ে সচেতনতার বার্তা। সাথে হল রক্তদান শিবির।
সব মিলিয়ে এক বৃহৎ তথা মহৎ উদ্যোগে সামিল সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন। সংস্থার সম্পাদক, সঞ্জীব আচার্য, জানান,” সমাজের সম্ভাব্য প্রতিটি কোণায় মানুষ অনেক বেশি করে সচেতন হোক এটাই আমাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।অনেক জটিলতার মধ্যেও ভালো করে বেঁচে থাকা যায় । সম্প্রতি আমরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলে মেয়েদের জন্য একটা হাতে কলমে কাজ শেখানোর জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র “ভরসা” শুরু করেছি।”