সেখ সামসুদ্দিনঃ মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্ব রাস্তায় নামল। প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে প্রাক্তন সভাপতি স্বপন বিষয়ী ও বর্তমান সভাপতি স্বপন ঘোষালের রাজনৈতিক টেক্কা দেওয়ার রণনীতি চলছে কমবেশি এলাকার মানুষ জানলেও একেবারে প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমে মারপিট হবে কেউ আশা করেনি। এইঘটনা আটকাতে কদিন আগেই জেলা সভাপতি বিধায়ক সহ সকল শহর নেতৃত্বকে ঢেকে সমঝে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে যে সকলে ইয়েসম্যানের ভূমিকা নেবে এবং ফিরে এসে যে যার ভুমিকায় অবতীর্ণ হবেন এটাও সকলের ধারণার মধ্যে ছিল। গতকাল পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে স্বপন বিষয়ীর অধীনস্থ সুকান্ত হাজরা লবির টোটো ইউনিয়নের এক নেতাকে মারপিট করার অভিযোগে পাল্টা সুকান্ত হাজরার নেতৃত্বে মেমারি বামুনপাড়া মোড়ে স্বপন ঘোষালের টিমের টোটো চালক সহ শহর যুব সহসভাপতিকে মারধোর করার অভিযোগ ওঠে। সেই সময় মেমারি থানার ওসি সুদীপ্ত মুখার্জীর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশি মধ্যস্থতায় রাতের মত বিষয়টি মিটে যায়। তারপর আজ আবার স্বপন ঘোষালের টিম রাতের মারের ঘটনার বদলা নিতে নতুন বাসস্ট্যান্ডে আইএনটিটিইউসির অফিসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। হঠাৎ করে নতুন বাসস্ট্যান্ডে দুই পক্ষের মারপিট শুরু হওয়ার খবর পেয়ে ওসির নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আইএনটিটিইউসি শহর সভাপতি সুকান্ত হাজরা জানান গতকাল থানায় বসে যে মীমাংসা করা হয়েছিল তারা মেনে নিয়ে নিজেদের কর্মস্থলে ছিলেন। অতর্কিতে হামলা চালায় স্বপন ঘোষালের টিমের পঞ্চাশ জনের একটি দল। দখল নিতে চায় ইউনিয়ন অফিস। অপরদিকে স্বপন ঘোষালের টিম অভিযোগ করে সুকান্ত হাজরার কোনো পদ না থাকলেও ইউনিয়ন অফিস দখল করে বসে মেমারি শহরকে উত্তপ্ত করছে, মারদাঙ্গার পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। অবিলম্বে তাকে বাসস্ট্যান্ড থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। যদিও ময়দানে শীর্ষ নেতৃত্ব স্বপন বিষয়ী বা ঘোষাল কেউই ছিলেন না। ফোনে স্বপন ঘোষাল বলেন এটা কোনো তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো ব্যাপার নয়। শ্রমিক সংগঠনের ২৮ লাখ টাকা ইউনিয়ন সেক্রেটারি, সভাপতি লোপাট করে দিয়েছে। তার কোনো হিসাব নেই। শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায় করতে গিয়েছিল। স্বপন বিষয়ীর ফোনে নট রিচেবল হওয়ায় প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।