মৃত ব্যক্তির নামে একশো দিনের প্রকল্পে টাকা আত্মসাৎ? রিপোর্ট তলব
মুকুল বিশ্বাস ,
মৃত্যুর পরেও বছরের পর বছর তিনি একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করে চলেছেন, টাকাও তুলছেন ধারাবাহিকভাবে! হ্যাঁ, এইরকম এক জালিয়াতি অভিযোগ নিয়ে মামলার শুনানি হলো সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। ২০১৫ সালেই মারা গিয়েছিলেন, তবে তারপরও ২০১৯ সালে ১০০ দিনের কাজ করেছেন! অভিযোগ, নদিয়াতে নাকি এমন ঘটনাই ঘটেছে। এক মৃত ব্যক্তির নামে জব কার্ডে টাকা তোলার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। এই মামলার শুনানিতে এদিন রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ ।মামলাকারীর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আদালতে অভিযোগ করে জানান, -‘ কল্যাণী ব্লকে অমল আচার্য্য ১০০ দিনের কাজ করছেন। ২০১১, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে। সেই অমল আচার্য্য ২০১৫ সালে মারা যান। অথচ তিনি ২০১৯ সালেও পুকুর খোঁড়ার কাজ করেছেন করে টাকা তুলেছেন। মৃত ব্যক্তির নামেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে।শুধু তিনি একা নন, ২০১৪ সালে মৃত মনোরঞ্জন বিশ্বাসের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ উঠেছে’। এমনকী পুলিশে কর্মরত এক ব্যক্তি টাকা তুলেছেন বলেও আদালতে দাবি করেন মামলাকারীর আইনজীবী। ওই আইনজীবী আরও দাবি করেন, -‘রাজ্য সরকার এই অভিযোগ পেয়েও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি’।সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে । শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, -‘আগামী তিন মাসের মধ্যে নদিয়ার জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। এমনকী রাজ্য সরকারকে এই ব্যাপারে একটি রিপোর্ট জমা করতে হবে আদালতে। সেই রিপোর্ট নিয়ে যদি মামলাকারীর কোনওরকম আপত্তি থাকে তিনি পুনরায় আবেদন জানাতে পারবেন’।