‘মন্দিরের সম্পত্তির মালিক দেবতাই’, সুপ্রিম কোর্ট 

মোল্লা জসিমউদ্দিন

গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট মধ্যপ্রদেশের এক মন্দির সংক্রান্ত মামলায় পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দিল – ‘ পুরোহিত নয়, মন্দিরের সম্পত্তির মালিক দেবতাই।পুরোহিত মন্দিরের সম্পত্তি দেখভাল করতে পারে ‘৷ ভূমিশ্বর অধিকার নিয়ে পুরোহিতেরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এদিনের সুপ্রিম রায়ের পর পুরোহিতরা আর মন্দিরের সম্পত্তি বেআইনিভাবে বিক্রি করতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে, মন্দিরের সম্পত্তি পরিচালনার উদ্দেশ্যে পুরোহিত কেবল জমি সংক্রান্ত কাজ করতে পারেন। ‘মালিক’ কে, এই প্রশ্ন উঠলে বলা প্রয়োজন, সেটা দেবতা নিজে। তবে মন্দির তদারকির কাজ পুরোহিতের হাতেই থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত ।এই প্রসঙ্গে এদিন শীর্ষ আদালত ব্যক্তিগত মন্দির এবং জনসাধারণের মন্দিরের ধারণাও স্পষ্ট করেছে। যাতে ভবিষ্যতে এই সংক্রান্ত কোনও জটিলতা তৈরি না হয়। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, বাড়িতে যে ঠাকুরঘর বা মন্দির আছে, সেটা বাড়ির মালিকের। কিন্তু জনসাধারণের জন্য যে দেবতার মন্দির থাকে তার মালিক স্বয়ং ঈশ্বর। পুরোহিতেরা দেখভালের কাজে।প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জমা পড়া একটি পিটিশনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিল। আদালত মধ্যপ্রদেশের আইন রাজস্ব কোড ১৯৫৯-এর অধীনে রাজ্য সরকারের জারি করা দুটি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে দিয়েছিল। ওই দুই বিজ্ঞপ্তিতে রাজস্ব রেকর্ড থেকে পুরোহিতের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পুরোহিত যাতে মন্দিরের সম্পত্তি বেআইনিভাবে বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য এই নির্দেশ। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে পুরোহিতদের একাংশের মন্দিরে সম্পত্তির প্রতি কর্তত্ব অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply