জাহিরুল হক (রাজা মাস্টার)
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের অনুপ্রেরণায় মঙ্গলকোট শান্তি রক্ষী বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় মঙ্গলকোট থানার প্রাঙ্গণে সকাল ন টায় ও কৈচর ফাঁড়িতে বৈকাল তিনটে সময় আসন্ন কালী পূজা উপলক্ষে কোভিড বিধি মেনে অনুষ্ঠিত হলো শীতবস্ত্র ও শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠান। মঙ্গলকোট থানার অন্তর্গত 15 টি গ্রাম পঞ্চয়েতের মোট ২৫০০ জন দুঃস্থ ও গরিব ব্যাক্তিদের মধ্যে কম্বল এবং শাড়ী বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান জেলা এডিশনাল এস.পি ধ্রুব দাস,কাটোয়া মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক কৌশিক বসাক, মঙ্গলকোট বিধানসভার বিধায়ক শ্রী অপূর্ব চৌধুরী, মঙ্গলকোট সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক জগদীশ বারুই, মঙ্গলকোট থানার আই সি পিন্টু মুখার্জি, মঙ্গলকোট ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জুলফিকার আলী, মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির মাননীয়া সভাপতি দীপা ঘোষ, মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চন্দন সরকার,পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। এই অনুষ্ঠানে বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী ব্যক্তি গত ভাবে আটশো টি শাড়ি দান করেন। অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা করেন বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে।এইদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক বলেন- “আমি হলাম জনপ্রতিনিধি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে মানুষের সেবার কাজে নিয়োগ করেছেন এবং মানুষের ভোটে আমি বিধায়ক হয়েছি। আমাকে যারা ভোট দিয়েছেন বা যারা দেননি আমি সবার বিধায়ক। আজকে এই থানার উদ্যোগে যে মহৎ অনুষ্ঠান হলো তার জন্যে আমি পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ,মঙ্গলকোট থানার আইসি সহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের সাধুবাদ জানাই। তিনি আরো বলেন- যখনই মানুষের প্রয়োজন হবে আমি মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবো।” মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখার্জি তার বক্তব্যে বলেন-“এই মহৎ অনুষ্টানে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি।পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের অনুপ্রেরণায় আজকে যে অনুষ্ঠানটি হল এই অনুষ্ঠানে বিধায়কের সহযোগিতা না পেলে হয়তো অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হতো না।” দূর-দূরান্তের ব্যক্তিদের যাতে শাড়ি বা কম্বল নিতে অসুবিধা না হয়, সেই জন্য আজকে মঙ্গলকোট থানার অন্তর্গত কৈচর ফাঁড়ি থেকেও মঙ্গলকোট থানার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র ও শাড়ি তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই মহৎ কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বিশিষ্ট এবং সাধারণ মানুষেরা।