Spread the love

‘ভূতের রাজা বর’  নামে রেস্টুরেন্ট সোদপুরে 

পারিজাত মোল্লা ,  

ভেতো বাঙালি হিসেবে যতই বদনাম থাক, বাঙালি রান্নার হাজারও  পদের বাহারীতে বিশ্ব মন্ত্রমুগ্ধ। তেতো দিয়ে   ভোজন শুরু। এহেন রসায়ন বিশ্বের কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি। মধ্যযুগের  আগে থেকেই বাংলার রন্ধনশৈলীর এক সুবিশাল ইতিহাস আছে ।কবিগুরু লিখেছিলেন এক মিষ্টির দোকানের বিজ্ঞাপনে বাসনার  সেরা বাসা রসনায়। গত  শনিবার বারবেলায় সোদপুর ঘোলায়   কলকাতার সেরা বাঙালি ঘরানার রেস্তোরাঁ ভূতের রাজা দিল বর তাদের ষষ্ঠ আউটলেটের শুভ উদ্বোধন করলেন রেস্তোরাঁর প্রতিষ্ঠাতা আর কে পাল এবং বিনোদন জগতের পরিচালক জিৎ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা ও বুলবুলি পাঁজা।টেবিলে টেবিলে ঘুরছিলেন স্বয়ং ভুতের রাজা। রেস্তোরাঁয়  অভিভাবকদের সঙ্গে আসা কচিকাঁচাদের কাছে যা ছিল রীতিমত  বিস্ময়। জিৎ চক্রবর্তী জানালেন, একদিকে রেস্তোরাঁর পরিবেশ অন্যদিকে বাংলা রান্নার স্বাদের যুগলবন্দী ঘটেছে। অভিনেতা খরাজ মুখার্জিকে দিয়ে রেস্তোরাঁর  একটি থিম সং তৈরি হয়েছে, যা মহালয়ার আগে প্রকাশ পাবে।রেস্তোরাঁ চেনের কর্তা রাজীব কুমার পাল জানান, -‘বাঙালি ভোজনরসিকদের সঙ্গে প্রথম পরিচয় ১৭ বছর আগে। চলতি বছরে আমাদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেছি ৩ ও ৪ মে। ১৭ তম বর্ষে ১৭ টি পদ মাত্র ১৭০ টাকায় পরিবেশন হয়েছে। বাজার দর যার নূন্যতম হয় সাতশ টাকা। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম,  সব ধরনের ভোজনবিলাসী মানুষ যাতে চেখে দেখতে পারেন। আমাদের অন্যতম আকর্ষণ থালি। গুপি থালি, বাঘা থালি ও মহাভোজ  থালি। সোদপুরের এই আউটলেটের অঙ্গসজ্জা করা হয়েছে গুগাবাবার শুন্ডি রাজার দরবারের অনুকরণে। সত্যজিৎ রায়ের শতবর্ষে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর পছন্দের মেনু রাখা হয়েছে আমাদের রেস্তোরাঁয়। মা ঠাকুমা ও দিদিমার হাতের যাদুর পরশ পাবেন গ্রাহকরা আমাদের রেস্তোরাঁয়।সাবেকি হারিয়ে যাওয়া অনেক পদ থাকছে। সোদপুর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষদের আর কলকাতা যেতে হবে না ভূতের রাজার বর পেতে। পুজোর আগেই আমাদের সপ্তম দোকানের উদ্বোধন হতে চলেছে’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *