‘বৌদ্ধ বিন লাদেন’ কে মুক্তি মায়ানমারে
সোমনাথ ভট্টাচার্য,
গত ৬ সেপ্টেম্বর মায়ানমার সরকার জেলবন্দি বৌদ্ধ ভিক্ষু উইরাথুর বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়।এরফলে তিনি জেল থেকে মুক্তি পান।তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ‘দ্য ফেস অফ বুদ্ধিস্ট টেরর’ সংগঠনের মুখ এই বৌদ্ধ ভিক্ষু।কট্টর জাতীয়তাবাদী এবং রোহিঙ্গা মুসলিম বিরোধী বক্তব্যের জন্য পরিচিত এই বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। ‘বৌদ্ধ বিন লাদেন’ বলেও কুখ্যাত এই ভিক্ষু। গত ২০১২ সালে মায়ানমারের বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। ওই হিংসায় প্রত্যক্ষ মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে উইরাথুর বিরুদ্ধে। একবছরের জন্য ধর্মীয় কাজ থেকে বহিষ্কার করে দেশটিতে বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মসভা। গত ২০১৩ সালে টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে বিরাথুর ছবি বের হয়। তাঁকে ‘দ্য ফেস অফ বুদ্ধিস্ট টেরর’ বা বৌদ্ধহ সন্ত্রাসবাদের মুখ বলে অভিহিত করে পত্রিকাটি। আশিন বিরাথুর সঙ্গে বার্মিজ সেনার সম্পর্ক মজবুত। গোড়া থেকেই গণতান্ত্রিক সু কি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এই ভিক্ষু। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছিল মায়ানমারের নির্বাচিত অসামরিক সরকার। গত নভেম্বর মাসে আত্মসমর্পণ করার পর থেকেই জেলে ছিলেন এই সন্ন্যাসী। তারপর গত ফেব্রুয়ারি মাসে ক্ষমতা দখল করে বার্মিজ সেনা। আর এবার উইরাথুকে মুক্তি দেওয়া হল।উল্লেখ্য, বছর তিনেক আগে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সন্ত্রাস দমন অভিযান শুরু করে বার্মিজ ফৌজ। অভিযোগ, ওই অঞ্চলের নিরীহ রোহিঙ্গাদের উপর হত্যা, ধর্ষণের মতো অত্যাচার চালায় সরকারি বাহিনী। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে প্রায় ১১ লক্ষ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।এই বৌদ্ধ ভিক্ষু কে মুক্তি দিয়ে কি বার্তা দিলো মায়ানমারের সামরিক সরকার। তা নিয়ে চলছে বিতর্ক।