Spread the love

 বাসের মেয়াদ বিজ্ঞপ্তি পুনর্বিবেচনা করতে মুখ্যসচিব কে নির্দেশ হাইকোর্টের 

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

সোমবার বাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যের মুখ্যসচিব বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের জারি করা বিজ্ঞপ্তি পুনর্বিবেচনা করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় এদিন এই নির্দেশ দিয়েছেন।। ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিলের নির্দেশিকা জারি করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। ওই নির্দেশিকার বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলাতেই এবার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়।দূষণ ঠেকাতে বাসের মেয়াদ আগেই নির্ধারণ করে দিয়েছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল। কলকাতা-সহ দেশের একাধিক হাইকোর্ট অনেক আগেই বেসরকারি বাণিজ্যিক গাড়ির আয়ু পনেরো বছর পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে পনেরো বছরের পুরনো বাস, লরি, ট্যাক্সি, অটো চলাচল নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।২৪ নম্বর রুটের বাস মালিকরা এদিন কলকাতা হাইকোর্টে এসেছিলেন। মামলাকারীর দাবি,-‘ রাজ্য সরকারের জারি করা নির্দেশিকার ভিত্তিতে এ মাসেই বাতিল হতে চলেছে ২৪ নম্বর রুটের প্রায় ৩৯টি বাস। আগামী মার্চের মধ্যে প্রায় পনেরোশোর মতো বাসও বাতিল হবে’। তাদের দাবি, -‘দেশে করোনা অতিমারিতে দু-বছর সেই ভাবে বাস চালানো সম্ভব হয়নি’। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে এই বিজ্ঞপ্তির পুনর্বিবেচনা চেয়েছিলেন তাঁরা। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের জারি করা বিজ্ঞপ্তি পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মহানগর ও শহরতলীর বিভিন্ন রুটে ১৫ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ কয়েক হাজার বাস বাতিল হতে চলেছে। এদিকে জ্বালানির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালের পর আর বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করতে দেওয়া হয়নি। তাই অবিলম্বে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করতে দিতে হবে, না হলে বাস বাতিলের সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। এই দাবিই তুলেছে বাসমালিক সংগঠনের একাংশ।দূষণের কথা মাথায় রেখে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল পুরনো বাস, লরি, ট্যাক্সি ও অটো বাতিলের ক্ষেত্রে পনেরো বছরের সময়সীমা বেঁধে দেয়। সেই অনুযায়ী শহর ও শহরতলির একাধিক রুটের মেয়াদ উত্তীর্ণ বাস বাতিলের নির্দেশিকা জারি করেন মুখ্যসচিব। ওই বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীর দাবি, -‘২৪ নম্বর রুটে প্রায় ৩৯টি বাস রাজ্য সরকারের জারি করা নির্দেশিকার ভিত্তিতে বাতিল হতে চলেছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে বাতিল বাসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে পনেরোশোর কাছাকাছি। এতে সমস্যায় পড়বেন বহু মানুষ’।মামলাকারীর আরও দাবি, -‘  করোনাকালে কমপক্ষে ২ বছর সেভাবে বাস চালানো সম্ভব হয়নি’। সেক্ষেত্রে বাস বাতিলের নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে ওই মামলার শুনানি চলে । দুপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর রাজ্যের মুখ্যসচিবকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের জারি করা বিজ্ঞপ্তি পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *